২০১৮ সালে ফুড সাব ইনস্পেক্টর পদে নিয়োগের পরীক্ষা হয়। ২০২১ সালে প্রায় ১০০ জন নিযুক্ত হন। যদিও সেই নিয়োগের আগেই প্রায় ৮০ জন আদালতের দ্বারস্থ হয়ে অভিযোগ করেছিলেন, একাধিক অনিয়ম হয়েছে পরীক্ষায়। সংরক্ষণের নিয়ম না-মানা, ইন্টারভিউয়ে অনিয়ম, ভুল প্রশ্নেরও অভিযোগ করা হয়। এর শুনানিতে বিচারপতি ট্যান্ডন শনিবার বিশেষ বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এর আগে একাধিক দিন মামলার শুনানি করতে গিয়ে দেখা গিয়েছিল, হয়তো সরকারি আইনজীবী অনুপস্থিত। আবার কোনও দিন সামান্য কারণে সময় চেয়ে শুনানি পিছিয়ে দেওয়ারও আবেদন করেছিল রাজ্য। যাতে প্রবল বিরক্ত ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে সতর্ক করে বলেছিল, রাজ্যের আইনজীবীদের এমন অলস মানসিকতা থাকলে আদালত কী করে মামলা দ্রুত শেষ করবে! কোর্ট যেখানে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে চাইছে, সেখানে রাজ্যের এমন ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি।
এ দিনও অবশ্য দিনভর শুনানি নিয়ে আদালতের পরিকল্পনা ভেস্তে যায় আইনি বিষয়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) আপত্তিতে। শুনানির শুরুতেই পিএসসি জানায়, মাত্র ৩০ জনকে মামলায় যুক্ত করা হয়েছে। বাকিদের মামলায় যুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হোক। না হলে নিয়োগের ক্ষেত্রে রায়ে তাঁদের উপরেও প্রভাব পড়তে পারে। পিএসসি’র আইনজীবী অভ্রতোষ মজুমদার জানান, যেহেতু এই প্রার্থীরা নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে নিযুক্ত হয়েছেন, তাঁদের বাদ রেখে কোনও সিদ্ধান্ত হলে সমস্যা হবে। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে মেনে নেয় কোর্ট। আগামী শুনানির আগে তাঁদের মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তী শুনানি হবে ৫ জুন।