পঞ্চায়েত নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। কিন্তু এখনও শাসক দলের একাংশ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে লাগাতার কটাক্ষ করে চলেছেন। বার বার নাম উহ্য রেখে তাঁকে নিশানা করছেন ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য নেতারা।
শনিবার রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ডোমজুড়ে একটি প্রতিবাদ সভায় অংশ নেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মঞ্চ থেকেই ফের নাম না রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের চার্টাড ফ্লাইটে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগদানের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। বলেন, ”মোদী-শাহ এমন বুঝিয়েছিলেন বাংলায় ২০০ সিটে ওরাই আসছে। আরও একজন আছেন, নাম নিচ্ছি না, সবাই জানে। তিনি আবার বলেছিলেন, হাওড়া-হুগলি আমি একাই দেখে নেব। তাই জন্য দাম উঠেছিল ৪০ কোটি টাকা। চার্টাড ফ্লাইটে উড়ে গেল ৪০ কোটি। এদের কথাতেই গ্যাস খেয়ে গিয়েছিল মোদী শাহ। তার রেজাল্ট কী হল এক-তৃতীয়াংশও পেরোতে পারল না। আর যে বলেছিল একাই হাওড়া-হুগলি দেখে নেবে, সেও মুখ থুবড়ে পড়ল। পড়তে জমি একটু বেশিই লেগেছিল। লম্বা মানুষ তো…!”
এখানেই শেষ নয়, ডোমজুড়ে একই জায়গায় এসে কয়েকদিন আগে রাজীবের প্রশংসা করেছিলেন মদন মিত্র। এদিন নাম না করে তাঁকেও কটাক্ষ করেন কল্যাণ। যে বা যারা তৃণমূলে থেকেও তাদের বিরুদ্ধাচরণ করছে তাদেরকে কড়া ভাষায় সতর্ক করলেন শ্রীরামপুরে সাংসদ। বলেন, ”কেউ দলে থেকে বিভেদের চেষ্টা করলে তাঁর ঘোমটা কালীর মতো ঘোমটা খুলে মুখটা দেখিয়ে দেব।”
ঘটনার সূত্রপাত দুদিন আগে। এলাকার একজন কৃতr ক্রীড়াবিদকে সংবর্ধনা দিতে এসে মদন মিত্র তার বক্তব্যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম উল্লেখ করেন এবং তাঁকে আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ জানান। আর এতেই গোঁসা হয় বিপক্ষ শিবিরের। যারা মদন মিত্রকে সেদিন আমন্ত্রণ করে এনেছিল নাম না করে তাদের সকলকেই এদিন কড়া ভাষায় সতর্ক করা হয় মঞ্চ থেকে। বিধায়ক থেকে শ্রীরামপুরের সাংসদ, ব্লক সভাপতি থেকে স্থানীয় নেতারা সকলেই মুখেই হুঁশিয়ারি তাদের বিরুদ্ধে । আর এতেই ডোমজুড় বিধানসভার ক্ষেত্রে তৃণমূলের বিভাজনটা প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে বলে অভিমত দলের একাংশের। যদিও সাংবাদিকদের সামনে এ বিষয়ে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কোন কথা বলতে চাননি।