এ দিন রাতে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ‘আচার্যের মেল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ পেয়েছি। রাতেই আমার বক্তব্য ওঁকে জানিয়ে দেব। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আইন রয়েছে, তা না মেনে একতরফা ভাবে এই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে পারছি না। কিন্তু এ কথা বলার কোনও ব্যাখ্যা দেননি।’ সাধনের সংযোজন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পৌঁছে একাধিক বৈঠক করেছি।’ কাল, সোমবার আচার্যের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে সাধন জানান।
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করেই সম্প্রতি নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও মৌলানা আবুল কালাম আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে (ম্যাকাউট) অস্থায়ী উপাচার্যদের নিয়োগপত্র দিয়েছে রাজভবন। যদিও ইউজিসি-র বিধি অনুযায়ী, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপক হিসেবে ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা নেই ওই দু’জনের।
একই সঙ্গে রাজ্যের সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের কাছে পাঁচ জন করে সিনিয়র প্রফেসরের নাম চেয়ে পাঠিয়েছিল রাজভবন। এ সব বিষয়েও অবশ্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর ও রাজ্য সরকার থেকেছে অন্ধকারে। এই চাপানউতোরের মধ্যে আবার রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসি-র বিধি ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটির পুনর্গঠনে রাজ্যের তৈরি পাঁচ সদস্যের কমিটির অর্ডিন্যান্সে শুক্রবারই সই করেছেন আচার্য আনন্দ বোস। যার জেরে শিক্ষা মহলে আশা তৈরি হয়েছিল, এ বার আচার্য-রাজ্য সংঘাত মিটতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে শনিবার সাধনকে বরখাস্তের চিঠিতে নতুন করে চাপানউতোর বাড়বে বলেই আশঙ্কা।
আচার্যের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অপসারিত উপাচার্য সাধন যদি আদালতে মামলা করেন, তা হলে রাজ্য সরকারের আইনজীবী যে ভিসি-র পক্ষেই সওয়াল করবেন, সেটা এক রকম স্পষ্ট। তবে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ক্যাম্পাসে ফিরলেও আন্দোলকারীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন উপাচার্য। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে হাইকোর্ট জানিয়েছিল, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ মিটারের মধ্যে আন্দোলন করা যাবে না। একইসঙ্গে আদালত জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে কারও গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।