সেই সময় ৩ নম্বর রেললাইনে দেখা যায় ট্রেন আসছে। সেই দেখে স্টেশনে থাকা যাত্রীরা চিৎকার করে সতর্ক করতে যান ওই মহিলাকে। কিন্তু ওই মহিলা কোনওরকম ভাবে কোনও কিছু শুনতে পাননি। ওই মহিলা কিছু শুনতে পাচ্ছেন না দেখেই প্লাটফর্মে থাকা বেলঘরিয়ার বাসিন্দা মহম্মদ রিজওয়ান (২৮) যিনি পেশায় একজন বিউটি পার্লার কর্মী, ওই মহিলাকে রেললাইন থেকে সরাতে যান।
কিন্তু ততক্ষণে প্লাটফর্মে ট্রেন এসে যায় এবং দু’জনেই ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের। ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়ায় প্ল্যাটফর্ম চত্বরে। এরপর রেল পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে রেললাইন থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়।
এক প্রত্যক্ষদর্শী সাগর দাস বলেন, “ছেলেটি প্ল্যাটফর্মেই ছিল। ওই মহিলা কিছুই শুনতে পাচ্ছেন না দেখে দৌড়ে তাঁকে সরাতে যায়। গিয়ে নিজের প্রাণটাই দিয়ে ফেলল ওই ছেলেটি। এটা দেখার পর আর কিছুই ভালো লাগছে না। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা”। এই বিষয়ে খড়দহের বাসিন্দা তথা BJP নেতা জয় সাহা জানান, “কোনও মৃত্যুই কাম্য নয়।
যেকোনও মৃত্যুই শোকের । কিন্তু খড়দহে প্রতিবার রাজনৈতিক নেতারা ভোটে দাঁড়ানোর আগে কথা দেন যে খড়দাস্টেশনে রেলওয়ে ওভারব্রিজ তৈরি করা হবে। কিন্তু ভোটে জেতার পরে সেই সব বিষয়ে তাঁরা ভুলে যান।
সমস্ত স্টেশনে রেলওয়ে ওভারব্রিজ বা সাবওয়ে থাকলেও একমাত্র খড়দাস্টেশনেই কোনোরকম কোনও ওভারব্রিজ বা সাবওয়ে নেই। প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষকে প্রাণ হাতে নিয়ে রেললাইন পারাপার করতে হয়”। আর কতদিন এইভাবে রেললাইন পারাপার করতে গিয়ে মানুষজনকে প্রাণ হারাতে হবে এই বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।