মমতা বলেন, ‘আমাকে অনেকে ফোন করেছেন এবং দেখা করতে চাইছেন। চাকরি বাতিলের কারণে অনেক অবসাদে ভুগছেন। অনেকেই আমাদের সাহায্য চাইছেন। আদালতের বিচারাধীন বিষয় আমি কিছু বলব না। তবে সরকারে অবস্থানের কথা বলব। মামলার কারণে নতুন করে নিয়োগ করা যাচ্ছে না। যাঁরা ডিএ নিয়ে চিৎকার করছে, তাদের জন্য ৩৬ হাজার ছেলে মেয়ের চাকরি চলে গেলে। সেই কারণে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যাব। আইনত যতদূর লড়াই করতে হয় আমরা করব। কেউ দয়া করে অবসাদে ভুগবেন না।’
ডিএ নিয়ে আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীদেরও এদিন নিশানা করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘৩ শতাংশ ডিএ পাওয়ার পরও যাঁরা মিছিল করে বেড়াচ্ছেন, তাদের জন্য এঁদের চাকরি গেল। দিল্লিতে আমাদের ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। সেই টাকা এনে দিন না। ৩ শতাংশ ডিএ দিয়েছি, টাকা এনে দিলে আরও ৩ শতাংশ দেব। এখন সময়ে সরকারি কর্মীদের বেতন ও পেনশন পৌঁছে যায়, আগে এই সব হত না।’
ডিএ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে আন্দোলন চলছে রাজ্যে। সরকারি কর্মীদের আন্দোলনের ধর্মঘট থেকে ধরনা, কর্মবিরতি দেখেছে রাজ্য। কিন্তু, সাম্প্রতিককালে মমতা মুখ্যমন্ত্রীর মুখে ডিএ আন্দোলনকারীদের নিয়ে এমন কড়া সুর শোনা যায়নি। মমতা বলেন, ‘সরকারি চাকরির জন্য বেতনের পাশাপাশি অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পান কর্মীরা। কিন্তু, সপ্তাহে দু-তিন করে অফিসের সব কাজ বাদ দিয়ে চার পাঁচ-ঘণ্টা করে যদি রাস্তায় মিছিল করে বেড়ান, তাহলে তো মানুষ পরিষেবা পাবে না। এটায় কি সার্ভিস রুল ব্রেক হচ্ছে না! মিছিল করতে কেউ না করেনি, অফিস টাইমের বাইরে করুন।’
ডিএ আন্দোলনকারীরা হাসপাতাল ও জরুরি পরিষেবা দফতরের সামনে দিয়ে মিছিল করেন বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘ওয়ান ওয়ে’ হরিশ মুখার্জি রোডে আন্দোলনকারীদের মিছিলের জন্য অনেক অসুবিধা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আপনি আপনাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। সরকারি কর্মীদের আমার পরিবারের সদস্য বলে মনে করি। কিন্তু, সিপিএম-বিজেপির গ্যাসে ব্যাঙের মা হয়ে গিয়েছেন। ২০০০ সালের কাগজ নেই, ১৯৮০ সালের কাগজ নেই। সব জায়গায় কো অর্ডিনিশেন কমিটির লোক বসে রয়েছে।’