Darjeeling St Andrews Church: ১৮০ বছরের দার্জিলিঙের আইকনিক চার্চে শুরু ইতিহাস রক্ষণাবেক্ষণের কাজ – renovation works starts at darjeeling st andrews church


শৈলশহরের অন্যতম পরিচয় St Andrew’s Church। ১৮০ বছর ধরে দার্জিলিঙের ইতিহাসের সাক্ষী এই চার্চ। পাহাড়ের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী এই চার্চ সময়ের ভারে আজ বৃদ্ধ। দুধ সাদা চূড়া থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। ক্ষতিগ্রস্থ কাঠের মেঝেও। চাকচিক্য হারিয়েছে দেওয়াল। বহুদিন হয়ে গেল চার্চের মাথায় দেওয়াল ঘড়িও ভুলেছে সময়ের হিসাব। দার্জিলিঙের অন্যতম পরিচিতি আইকনিক এই চার্চের রক্ষণাবেক্ষণে এবার হাত লাগাল গোর্খাল্যান্ড টেরিটরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (GTA)।ব্রিটিশের দাসত্ব থেকে স্বাধীনতা, পাহাড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদের আগুন থেকে শান্ত শৈলশহর। কত কাল বদলের সাক্ষী এই চার্চ। দার্জিলিঙের ম্যাল রোডের পাশের রাস্তা ধরে হেঁটে গেলেই নজরে আসে চার্চের উঁচু মিনারের চূড়া। পাহাড়ে ভরা ব্যাকগ্রাউন্ডের সামনে দুধ সাদা চার্চ যেন পারফেক্ট পোস্টকার্ড পিকচার। ১৮২৮ সালে দার্জিলিঙে এসে এই পরিবেশের প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন আলেমার লয়েড। স্কটল্যান্ডের সন্তের নাম অনুসারে তিনিই ১৮৪৩ সালের নভেম্বরে স্থাপন করেছিলেন এই সেন্ট অ্যান্ড্রুজ চার্চের ভিত্তিপ্রস্তর। মার্বেল ও পিতল ফলকে চার্চের গায়ে লেখাও রয়েছে তাঁর নাম।

Darjeeling Tourism : নিউ দার্জিলিঙ খোঁজার নির্দেশ মমতার
প্রতিষ্ঠার পর ১৮৬৭ সালে বজ্রপাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল সেন্ট অ্যান্ড্রুজ চার্চের। পরে প্রায় তাঁর পুনর্নির্মাণ করা হয়। তবে সেদিনের পর সেভাবে কখনই হয়নি এর সংস্কারের কাজ বলে দাবি স্থানীয়দের। দীর্ঘ ১৭০ বছর ধরে ভূমিকম্প, ঝড়-জল সয়ে এবার অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ এই আইকনিক চার্চ। তাই এই চার্চকে রক্ষায় রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ জিটিএ-এর।

Darjeeling Tourism : দার্জিলিং বেড়াতে গিয়ে শরীর খারাপ! কোথায় পাবেন ডাক্তার? সেভ করুন গুরুত্বপূর্ণ নম্বর

জিটিএ পর্যটনের নর্দান শেরপা জানিয়েছেন, ”এই ঐতিহাসিক চার্চটি রক্ষার জন্য আগেই বরাদ্দ পাঠানো হয়েছিল কিন্তু তা কিছু কারণে ফিরে যায়। ফের নতুন বোর্ড গঠনের পর এই চার্চ রক্ষণাবেক্ষণে ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।” শনিবার থেকেই এই চার্চের রেনোভেশনের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জিটিএ প্রতিনিধি।

Darjeeling Tourism: টাইগার হিল ভ্রমণ নিয়ে নয়া জট! মুখ ফেরাচ্ছে পর্যটক থেকে ব্যবসায়ীরাও?
জানা গিয়েছে, চার্চের মূল কাঠামো একইরকম রেখে মেরামতির কাজ করা হবে। এই ধরনের আর্কিটেকচার ঐতিহাসিক, তাই তা কোনও রকমভাবে নষ্ট না করেই চার্চের বাকি কাজ করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। চার্চের ভিতর ২০০ জনের মতো থাকার জায়গা রয়েছে, সেটিও খেয়াল রাখা হয়েছে। ১৯৯০ সালে থেকে বন্ধ ক্লক টাওয়ারটিকেও সারিয়ে সচল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।সেন্ট অ্যান্ড্রুজ চার্চের যাজক রূপার্ট রাই জানান, ”অবশেষে এই চার্চের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হতে চলেছে তাতে আমরা ভীষণ খুশি। চার্চের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৪০ জন পরিবার এর আগে টাকা তুলে চার্চ মেরামতির উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তাতে যা টাকা উঠেছিল সেই দিয়ে চার্চের বাইরের কাঠামো মেরামতি ও রঙ করার বেশি কিছু হত না।” দার্জিলিঙের ঐতিহ্যময় এই স্থাপত্য মেরামতি শেষে আবারও মনোরম রূপ নিয়ে পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে বলে আশা শৈলশহরবাসীর। তবে এই মেরামতির কাজ শেষ হতে কতদিন লাগবে তা এখনও জানা যায়নি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *