প্রতিষ্ঠার পর ১৮৬৭ সালে বজ্রপাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল সেন্ট অ্যান্ড্রুজ চার্চের। পরে প্রায় তাঁর পুনর্নির্মাণ করা হয়। তবে সেদিনের পর সেভাবে কখনই হয়নি এর সংস্কারের কাজ বলে দাবি স্থানীয়দের। দীর্ঘ ১৭০ বছর ধরে ভূমিকম্প, ঝড়-জল সয়ে এবার অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্থ এই আইকনিক চার্চ। তাই এই চার্চকে রক্ষায় রক্ষণাবেক্ষণের উদ্যোগ জিটিএ-এর।
জিটিএ পর্যটনের নর্দান শেরপা জানিয়েছেন, ”এই ঐতিহাসিক চার্চটি রক্ষার জন্য আগেই বরাদ্দ পাঠানো হয়েছিল কিন্তু তা কিছু কারণে ফিরে যায়। ফের নতুন বোর্ড গঠনের পর এই চার্চ রক্ষণাবেক্ষণে ১৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।” শনিবার থেকেই এই চার্চের রেনোভেশনের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জিটিএ প্রতিনিধি।
জানা গিয়েছে, চার্চের মূল কাঠামো একইরকম রেখে মেরামতির কাজ করা হবে। এই ধরনের আর্কিটেকচার ঐতিহাসিক, তাই তা কোনও রকমভাবে নষ্ট না করেই চার্চের বাকি কাজ করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। চার্চের ভিতর ২০০ জনের মতো থাকার জায়গা রয়েছে, সেটিও খেয়াল রাখা হয়েছে। ১৯৯০ সালে থেকে বন্ধ ক্লক টাওয়ারটিকেও সারিয়ে সচল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।সেন্ট অ্যান্ড্রুজ চার্চের যাজক রূপার্ট রাই জানান, ”অবশেষে এই চার্চের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হতে চলেছে তাতে আমরা ভীষণ খুশি। চার্চের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৪০ জন পরিবার এর আগে টাকা তুলে চার্চ মেরামতির উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তাতে যা টাকা উঠেছিল সেই দিয়ে চার্চের বাইরের কাঠামো মেরামতি ও রঙ করার বেশি কিছু হত না।” দার্জিলিঙের ঐতিহ্যময় এই স্থাপত্য মেরামতি শেষে আবারও মনোরম রূপ নিয়ে পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে বলে আশা শৈলশহরবাসীর। তবে এই মেরামতির কাজ শেষ হতে কতদিন লাগবে তা এখনও জানা যায়নি।