সোমবার হঠাৎ আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। ধুলোর ঝড়ে ঢেকে যায় হুগলির আকাশ।বেশ কিছুক্ষণ এলোমেলো কালবৈশাখী ঝড়ের পর নামল স্বস্তির বৃষ্টি। গত কয়েকদিনে ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল রাজ্যবাসীর। অবশেষে আজ বিকেলে হঠাৎ কালবৈশাখীর ঝড় শুরু হয় সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি । কিন্তু ঝড়ের জেরে গাছ ও হোর্ডিং ভেঙে ব্যাহত হাওড়া শাখায় ট্রেন চলাচল।জানা গিয়েছে, হিন্দমোটর কোন্নগর স্টেশনের মাঝে আপ আরামবাগ লোকাল দাঁড়িয়ে পড়ে। ঝড়ে ফ্লেক্স উড়ে গিয়ে পরে ওভারহেড তারে।শর্ট সার্কিট থেকে পাওয়ার অফ হয়ে যায়। ফলে অফিস ফেরত টাইমে চরম সমস্যায় পড়তে হয় নিত্য যাত্রীদের। ট্রেন পরিষেবা স্তব্ধ হতেই অনেকেই লাইন ধরে হাঁটতে শুরু করেন। সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হিন্দমোটর স্টেশন ছাড়ে আরামবাগ লোকাল। আপ লাইনে ট্রেন বন্ধ থাকলেও রিভার্স লাইন দিয়ে আপের ট্রেন চলছে। ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে খবর। Sealdah Local Train: ঝড়-বৃষ্টির তাণ্ডবে লাইনে পড়ল গাছ, শিয়ালদা দক্ষিণ ও মেন শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত
আরামবাগ লাইনে প্রায় দু ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। অন্যদিকে, হুগলির দাদপুরে হাসনানে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে যায় রাস্তার উপরে। বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পরে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা এসে রাস্তার উপর থেকে বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে নিয়ে যান। এরপরই যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। বেশ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
নিত্যযাত্রী তপন কুমার রানা বলেন, পাঁচটা দশের হাওড়া থেকে ছাড়ে আরামবাগ লোকাল। কোন্নগরে আসার পরেই দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেনটি। ওভারহেড তারে কিছু ঝুলতে দেখা যায়। বাধ্য হয়ে রেললাইন ধরে হাঁটতে শুরু করে অনেকে। তবে রেল আধিকারিকদের দেখা মেলেনি ।
অপর এক ট্রেন যাত্রী সুভাষচন্দ্র পাল বলেন, হাওড়া থেকে ৫:১০ নাগাদ ট্রেনটি ছাড়ে। এরপরে হিন্দমোটর ও কোন্নগর স্টেশন এর মাঝামাঝি এসে দাঁড়িয়ে পড়ে ট্রেন ।প্রায় দু’ঘণ্টা একটানা দাঁড়িয়ে ছিল ট্রেন। ঝড় বৃষ্টির মধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে সমস্যার মধ্যে পড়ে যাত্রীরা।