রবিবার বিকেলে ভাঙড়ের ঘটকপুকুরে রাজনৈতিক সভার আয়োজন করেছিল আইএসএফ। নওশাদের দলের অভিযোগ সেই সভায় যাওয়ার পথে রানিগাছি এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আইএসএফের কর্মীদের বাধা দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের একবার উত্তেজন ছড়ায় ভাঙড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ভাঙড় থানার পুলিশ। তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
অন্যদিকে শাসকদলের অভিযোগ, অল্প বয়সী ছেলেদেরকে মদের প্রলোভন দেখিয়ে জোর করে মিটিংয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। এমনকী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় বলেও অভিযোগ শাসকদলের। তৃণমূলের দাবি, এই কারণে এলাকার মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। রবিবার যেখানে সভা করেছে আইএসএফ, সোমবার সেখানে পালটা সভা করবেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা।
বাহরুল পিয়াদা নামে ভাঙড়ের এক যুবক দাবি করেন যে তাঁকে মদের প্রলোভন দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি আইএসএফ করি না, তৃণমূল করি। আমরা বাড়িতে গিয়ে ঘটকপুকুরে আইএসএফের মিটিংয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। মদ দেওয়ার কথা বলেছিল, কিন্তু এখনও দেয়নি। আমরা এমন লোভ দেখালে কী আর করব।’
স্থাানীয় তৃণমূল নেতা সাদ্দাম ঘরামি বলেন, ‘যাঁদের এখনও ভোটাধিকার হয়নি, তাদের মদ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মিছিলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যাঁরা এইসব কাজ করে মানুষ তাদের ছুড়ে ফেলে দেয়।’
যদিও গোটা ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন ভাঙড়ের তৃণমূল বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন, ‘আমাদের সভা বানচাল করার জন্য শওকত মোল্লার নির্দেশে এই কাজ হয়েছে। আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। যাই করুক, আইএসএফ পিছনে হঠবে না। আমরা বাড়ি গিয়ে মানুষকে অনুরোধ করেছি এটা ঠিক, তবে মদের লোভ দেখানোর কথা অবান্তর।’