তরুণজ্যোতির দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার ওই রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। সোমবার মামলাকারী আদালতকে জানিয়েছেন, ৩৬ হাজার নয়, ২৭ হাজার ৪১৫ জনের চাকরি বাতিল হাওয়া উচিত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে রায় সংশোধনের আর্জি জমা পড়েছে।
মামলাকারী আইনজীবী তরুণজ্যোতি আদালতকে জানিয়েছেন, শুনানির সময় পার্শ্ব শিক্ষকদের বিষয়টি তিনি আলাদা করে উল্লেখ করেননি। মামলাকারীর রায় সংশোধনের আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। আগামিকাল, মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হবে। এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী জানিয়েছেন, টাইপের ভুলের কারণেই চাকরিপ্র্রার্থীদের সংখ্যা বদলে গিয়েছে। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির পর আদালত কী রায় দেয় সেদিকেই এখন নজর থাকবে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিতদের চাকরি বাতিল হয়ে যাওয়ার পর গোটা রাজ্য কার্যত হইহই পড়ে যায়। প্রত্যাশিতভাবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে সমর্থন করে বিরোধীরা। এই রায়ের পর ফের একবার শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়ায় বিজেপি, সিপিএম থেকে শুরু করে কংগ্রেস।
শুক্রবার আদালতের রায়ের পর সন্ধেবেলা সাংবাদিক বৈঠক করেন প্রাথমিক সিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। আইনজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। মনে করা হচ্ছিল, আদালতের নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যেতে পারে পর্ষদ। সেই জল্পনা সত্যি করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল পর্ষদ।
নিয়োগ বাতিল নিয়ে বিচারপকতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে পর্ষদকে মামলার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও জানতে রিফ্রেশ করুন…