এই সময়: তড়িদাহত হয়ে দু’জনের মৃত্যুতে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে সরগরম একবালপুর। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের ক্ষোভ এলাকারই বেশ ক’টি বাড়ির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই বাড়িগুলি থেকে আশপাশের কয়েকটি ঘরে বেআইনি ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এমনকী, চুরির বিদ্যুতে চলে এসি-ও। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম রবিবার ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিদ্যুৎ চুরি বন্ধের দাবিতে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা। সিইএসসি এবং পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিধায়ক ফিরহাদ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ‘বিদ্যুৎ চুরির কথা কাউন্সিলারকে বারবার জানানো হলেও, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’ একই সুর মৃতদের পরিবারের এক সদস্যের গলায়। তিনি বলেন, ‘এই এলাকায় অনেকই বিদ্যুৎ চুরি করছেন। তাঁরা আবার অন্যকে বিদ্যুতের লাইনও দিচ্ছেন টাকার বিনিময়ে।’ এ দিনের ঘটনাতেও চুরির যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। এক বাসিন্দা বলেন, ‘চুরি করা তারের সঙ্গে কোনও ভাবে জিআই তার ঠেকে যাওয়াতেই হয়তো শর্ট সার্কিট হয়ে গিয়েছে।’
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ‘বিদ্যুৎ চুরির কথা কাউন্সিলারকে বারবার জানানো হলেও, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’ একই সুর মৃতদের পরিবারের এক সদস্যের গলায়। তিনি বলেন, ‘এই এলাকায় অনেকই বিদ্যুৎ চুরি করছেন। তাঁরা আবার অন্যকে বিদ্যুতের লাইনও দিচ্ছেন টাকার বিনিময়ে।’ এ দিনের ঘটনাতেও চুরির যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। এক বাসিন্দা বলেন, ‘চুরি করা তারের সঙ্গে কোনও ভাবে জিআই তার ঠেকে যাওয়াতেই হয়তো শর্ট সার্কিট হয়ে গিয়েছে।’
ফিরহাদের বক্তব্য, ‘দুঃখজনক ঘটনা। সিইএসসি-কে বলেছি, কেউ চুরি কেউ তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি বিধায়ক হওয়ার পর এ ভাবে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। সিইএসসি-কে বলেছি, এ ভাবে চলবে না। পুলিশকেও বলেছি তদন্ত করতে। কাউন্সিলার বিদ্যুৎ চুরি আটকাতে পারেন না। এটা পুলিশ এবং সিইএসসি-রই দায়িত্ব।’ এ বিষয়ে অবশ্য সিইএসসি-র এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘ঘটনার কথা জানতে পেরেই আমাদের ইঞ্জিনিয়াররা যান। দেখেন, সেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক রয়েছে। যে জিআই তারে ঘটনা ঘটার অভিযোগ, এসেছিল সেটা পাওয়া যায়নি। আমরা পুলিশকে সব জানাচ্ছি। সরকারকেও রিপোর্ট দেব।’