কোথা থেকে কিভাবে এলো এই নীলগাই, এই নিয়ে এলাকায় চলছে জোর আলোচনা। বামনগোলা এলাকায় হঠাৎই দেখা গেলো বন থেকে ছুটে আসা একটি নীলগাইকে। গত শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ডাকাতপুকুর এলাকায় নীলগাইটিকে দেখতে পান গ্রামবাসীরা।
সেই নীলগাইকে দেখতে ছুটে আসেন সব গ্রামবাসী। দেখা মিললেও জনগণের ভয়ে দৌড়ে সে চলে যায় বিভিন্ন প্রান্তে। গ্রামবাসীরা ধরার চেষ্টা করলেও ধরতে পারেনি। ঠিক পরের দিন রবিবার সকালবেলা আবারও দেখা যায় ডাকাত পুকুর গ্রামের পূর্বেদিকে অবস্থিত কসবা মাঠে।
গ্রামবাসীরা আবার কৌতূহলের সঙ্গে তাকে ধরার চেষ্টা করলেও সে লাফিয়ে চলে যায় এবং তৎক্ষণাৎ বন দফতরের আধিকারিকরা এসে উপস্থিত হলে তারাও ধরার চেষ্টা করেন। যদিও রবিবার বিকেল পর্যন্ত ধরা সম্ভব হয়নি সেটিকে। গ্রামবাসীরা প্রথমে এটিকে ঘোড়া ও অন্যান্য আরও বিভিন্ন প্রজাতির পশু বলে চিহ্নিত করলেও বন আধিকারিকরা বলেন এটি নীলগাই।
বন দফতরের আধিকারিকরা দু’দিন ধরে খোঁজ করার চেষ্টা করলেও কোনোরকমভাবে উদ্ধার করতে সম্ভব হয়নি। তারাও সঠিকভাবে বলতে পারছেন না কোথায় থেকে এসেছে এই নীলগাই। তারা অনুমান করছেন বিহারের কোনও এলাকা থেকে ছুটে এসেছে নীলগাইটি। জনগণ যাতে এই নীলগাইকে কোনোরকম ভাবে উত্তেজিত না করে তার জন্য সচেতনতা মূলক প্রচার চালানো হচ্ছে।
কোনোরকম আঘাত না করে সেই বিষয় ও জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে। এবং ধরা পড়লে সেটি যাতে বন দফতরের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বন দফতরের আধিকারিকরা ভর দুপুরে হাতে ঘুমপাড়ানি বন্দুক নিয়ে ছোটাছুটি করলেও ডাকাতপুকুর থেকে কসবা, মহিশাল ,মহিশাল থেকে পারহবিনগর নাম মাঠে ছুটে গিয়েছে নীলগাইটি।
নীলগাইটি উদ্ধার হলে তাকে আদিনা ডিয়ার ফরেস্টে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান বন দফতরের আধিকারিকরা। এক আধিকারিক জানান, “আসলে এত এত লোক দেখে নীলগাইটি ভয় পেয়ে গিয়েছে। তাই ছুটে বেড়াচ্ছে। গ্রামবাসীদেরকে বোঝানোর চেষ্টা চলছে এই বিষয়ে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আমরা সেটিকে ধরতে পারব।”
এক গ্রামবাসী জানান, “এই ধরনের কোনও প্রাণী এই এলাকায় কেউ দেখেনি। তাই মানুষের মধ্যে কৌতূহলটা বেশি। তবে নীলগাইটিকে কেউ কোনও ক্ষতি করবেন না গ্রামবাসীরা।”