বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অন্ধ’ ভক্ত গিরীন্দ্র। সরকারের কোনও ভুলই যে তাঁর চোখে পড়ে না। তাঁকে নিয়ে বিতর্ক বা আলোচনা নতুন নয়। ২০২২ সালের অগস্ট মাসে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাগ বিতরণের সময় মমতার সরকারে উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন গিরীন্দ্র। এমনকী অফিসরুমে মুখ্যমন্ত্রীর ছবিতে করেন স্যালুট। সমাজমাধ্যমে সেই ছবি ভাইরাল হতেই ব্যাপক সমালচনার মুখে পড়েন এই শিক্ষক। এমনতী চলতি জানুয়ারি মাসে স্কুলের বুকলিস্টে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছাপিয়ে বিতর্ক আগুনে ঘি ঢালেন এই প্রধান শিক্ষক।
বিতর্কের মুখে পড়ে তিনি জানান, রাজ্য সরকার শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো সামাজিক প্রকল্প নিয়েছে।পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রিত্বে স্কুল পড়ুয়াদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাও দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণে তাঁর মমতা-বন্দনার মধ্যে কোন ভুল নেই।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, আদালতে হলফনামা জমা গিয়ে ‘দাস’ পদবি বদলে গিরীন্দ্রনাথ এখন ‘বন্দ্যোপাধ্যায়’। প্রধান শিক্ষকের এই পদবি পরিবর্তন নিয়ে এলাকায় তুঙ্গে উঠেছে চর্চা। সমালোচনাক মুখেও পড়তে হচ্ছে এই প্রধান শিক্ষককে। বিরোধীদের দাবি তিনি দলদাসে পরিণত হয়েছে, সেই কারণে এই কাজ করছেন।
যদিও বিতর্কের মুখে অবিচল গিরিন্দ্রনাথ। তাঁর উক্তি, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়তে মনে প্রাণে ভালোবাসি। তাঁর প্রতি আমার অশেষ শ্রদ্ধা। তাঁকে আমার অনুপ্রেরণা বলে মনে করি। সেই কারণে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ও চিরস্মরণীয় করে রাখতে পদবি বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দাস থেকে আমাপ পদবি এখন বন্দ্যোপাধ্যায়।’
নাম বদল নিয়ে বিতর্কের কোনও কারণ দেখতে পাচ্ছেন না এই স্কুল শিক্ষক। তাঁর দাবি, ‘এতে এত বিতর্কের কিছু নেই। জ্ঞানী-গুণি ব্যক্তিদের নামই তো মানুষ গ্রহণ করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অংশে কম নন। আমি যা করেছি, তাঁর মধ্যে ভুল কিছু রয়েছে বলে মনে হয় না।’