South 24 Parganas : জীবিতকে মৃত দেখিয়ে বন্ধ ভাতা, সমস্যায় বৃদ্ধ দম্পতি – old age allowance has stopped as the living person has been declared dead in kulpi


এই সময়, কুলপি: জীবিত ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে বার্ধক্যভাতা। গত দু’বছর ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বৃদ্ধ দম্পতি। টাকার অভাবে বন্ধ চিকিৎসাও। কুলপি ব্লকের ঢোলাহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের তেলে গ্রামের ঘটনা। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতে একে অন্যকে দোষ দিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা।

Child Marriage : বিডিওকে চিঠি লিখে বিয়ে রুখল নাবালিকা
গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপির চিত্তরঞ্জন হালদার ভাতা বন্ধের ঘটনায় ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি পঞ্চায়েত কর্মীর উপর দায় চাপিয়েছেন। ঢোলা পঞ্চায়েতের প্রধান রুবিয়া বিবি কয়ালের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা হোসেন কয়াল ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পঞ্চায়েত সদস্য ও কর্মীদের উপর দায় চাপিয়েছেন।

বৃদ্ধের অভিযোগ, তিনি বামপন্থী হওয়ায় তাঁর ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে কুলপির বিডিও সৌরভ গুপ্ত বলেন, ‘পঞ্চায়েত থেকে ওই নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল। পুনরায় ভাতা চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত দপ্তরের কাছে নথি পাঠানো আছে।’ খড়ের ছাউনি আর ছিটে বেড়ার মাটির দেওয়ালের এক চিলতে ঘরে বাস ৭৯ বছরের বিজয় হাতির।

Yuvasree Scheme : ‘যুবশ্রীর জন্য আবেদন করেছিলেন?’, দুয়ারে সরকারি আধিকারিককে দেখে হতভম্ব বেলিয়া গ্রাম
বৃদ্ধা স্ত্রী কাননবালা ও অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে টানাটানির সংসার হাতি পরিবারের। তিনি দীর্ঘ দশ বছর ধরে বার্ধক্যভাতা পেতেন। কিন্তু গত দু’‌বছর আগে হঠাৎ তাঁর ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। এর পর তিনি পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে খোঁজখবর শুরু করেন। জানতে পারেন, সরকারি নথিতে তাঁকে মৃত দেখানো হয়েছে। যার ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছে বার্ধক্যভাতা।

পুনরায় ভাতা চালুর আবেদন নিয়ে পঞ্চায়েত, বিডিও, জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু কোনও মতে ভাতা পুনরায় চালু হয়নি। ভাতার টাকাতেই চলত হাতি দম্পতির চিকিৎসা। ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসাও করাতে পারছেন না তাঁরা। যত দিন যাচ্ছে হাতি দম্পতি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বিজয় হাতি বলেন, ‘দু’বছর আগে প্রথম ভাতা বন্ধ হতেই আমি খোঁজ নিতে পঞ্চায়েত ও বিডিও অফিসে গিয়েছিলাম।

Uttar 24 Pargana : বিড়ি বেঁধে রোজগার, সম্বল কালো ত্রিপলে ঘেরা ঘর! ‘সততার প্রতীক’ তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান
সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর তৎকালীন বিডিও জানিয়েছিলেন, আমাকে বার্ধক্য ভাতার নথিতে মৃত দেখিয়ে নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। কী ভাবে এটা হলো, তা খতিয়ে দেখে বিডিও সাহেব যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।’ তাঁর অভিযোগ, ‘যেহেতু আমি অন্য দল করি, তাই হয়তো আর কোনও কাজ হয়নি। ভাতা চালুর জন্য জেলাশাসকের কাছেও আবেদন জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।’ পরিবারের অভাবের কথা তুলে ধরে দ্রুত স্বামীর বার্ধক্য ভাতা চালুর দাবি জানান স্ত্রী কাননবালাও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *