সাপে কামড়ানোর পরে অনেক ক্ষেত্রেই ওঝা ডেকে সময় নষ্ট করায় ঘটে যায় বড় বিপদ। এ ব্যাপারে নিয়মিত মানুষকে সচেতন করার কাজ করে বেশ কিছু সংগঠন। কাজ করে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চও। মঞ্চের রাজ্যস্তরের নেতা তথা কুলটির বাসিন্দা কিংশুক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রভাতের ক্ষেত্রে একটা জিনিস অবশ্যই ভালো, সেটা হলো সঙ্গে সঙ্গে ওঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বাকিটা ওঁদের নিজস্ব বিশ্বাস।’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মহম্মদ ইউনুস খান জানান, সাপে কামড়ানো রোগীর চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা রয়েছে জেলা হাসপাতালে। চিকিৎসকরা রোগীদের সুস্থ করে তোলার সব রকম চেষ্টা করেন। এ ক্ষেত্রেও প্রভাতকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চলছে। ডিসেরগড়ের হাতিনল গ্রামের বাসিন্দা প্রভাতকে শনিবার মধ্যরাতে ঘরের মধ্যেই কামড়ায় একটি চিতি সাপ। প্রথমে বরাকরে এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। খানিক বাদে ভর্তি করা হয় আসানসোল হাসপাতালে।
যুবকের স্ত্রী ববিতা মুখোপাধ্যায় জানান, প্রবল গরমের কারণে রাতে মাটিতে শুয়েছিলেন তাঁরা। রাত ১২টা নাগাদ স্বামীর ডাকে উঠে দেখেন, প্রভাতকে সাপ কামড়েছে। সাপটাকে ধরেও ফেলেছিলেন প্রভাত। যুবকের মা সাধনা মুখোপাধ্যায় সোমবার বলেন, ‘চিৎকার শুনে গিয়ে শুনি, ছেলেকে চিতি সাপে কামড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ওকে বরাকরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাই। সেখান থেকে জেলা হাসপাতালে।’ সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, ‘ঘরের ছেলে যাতে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে আসে, সে জন্য আমরা মনসা মন্দিরে পুজো ও যজ্ঞের ব্যবস্থা করেছিলাম।’
এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলার তারকনাথ ধীবর বলেন, ‘চিকিৎসকরা ওঁকে সুস্থ করে তুলতে সব রকম চেষ্টা করছেন। বাকিটা ভগবানের উপর ভরসা রাখতে বলেছেন। আমরা গোটা গ্রামের মানুষই চাই, প্রভাত সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন। তাই পুজো-যজ্ঞের আয়োজন করা হয়।’ একই বক্তব্য প্রাক্তন কাউন্সিলার সাধন পালের।