Asansol Super Speciality Hospital : প্রসব যন্ত্রণা ছাড়াই নর্মাল ডেলিভারি, নজির আসানসোলের সরকারি হাসপাতালে – painless normal delivery in asansol district hospital


পেইনলেস নর্মাল ডেলিভারিতে নজির সৃষ্টি করল আসানসোল জেলা হাসপাতালে। সরকারি হাসপাতালে এই ধরনের চিকিৎসা পশ্চিম বর্ধমান জেলায় প্রথমবার বলে জানিয়েছেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিল চন্দ্র দাস। গত রবিবার নেহা খাতুন নামে এক প্রসূতি জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সোমবার নেহা খাতুনের পেইনলেস নর্মাল ডেলিভারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মা এবং সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন।

Kazi Najrul University : উপাচার্য অপসারণে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্ছ্বাস পড়ুয়াদের, চলল মিষ্টি বিতরণ
জেলা হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক বিনীতা কুমারী এবং অ্যানাস্থেসিস্ট ঋষিকেশ মিত্রের তত্ত্বাবধানে এই নজিরবিহীন ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল জেলা হাসপাতালে। আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসরা জানিয়েছেন এই পদ্ধতিকে পেইনলেস নরম্যাল ডেলিভারি বলা হয়।

Asansol News : মুখ ঢেকেই বিপদ ডেকে আনল! মদের দোকানে ডাকাতির ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ধৃত অভিযুক্ত
যে পদ্ধতিতে অ্যানাসথেসিয়া করা হয়েছিল তার নাম ‘এ্যাপিডুরাল অ্যানাসথেসিয়া’ (Epidural Anesthesia)। এই অ্যাপিডুরাল অ্যানাসথেসিয়া পদ্ধতিতেই ব্যাথাহীন সন্তান প্রসব বা পেনলেস লেবার হয়েছে বলে জানান দুই চিকিৎসক বিনীতা কুমারী ও হৃষীকেশ মিত্র।
সন্তান প্রসবের সময় সহ্যাতীত যন্ত্রণা হয়। এই কারণে প্রসূতি বা পরিবারের সদস্যরা সিজার বা অস্ত্রোপচার কথা বলেন। এই প্রসূতির ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি সফল হয়েছে। চিকিৎসকদের দাবি, সন্তান জন্ম দেওয়ার আগে বা পরে কোন ব্যথা অনুভব করেননি রোগী। সরকারি হাসপাতালে এরকম চিকিৎসা পরিষেবার কারণে সাধারণ মানুষের সরকারি হাসপাতালের উপর ভরসা বাড়বে বলে জানিয়েছেন আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিল চন্দ্র দাস।

Asansol Municipal Corporation : অবশেষে মিটল দ্বন্দ্ব! নির্বাচনের দেড় বছর পর শপথ গ্রহণ ২ ডেপুটি মেয়রের
যদিও চিকিৎসা শাস্ত্রে অবশ্য এই পেনলেস পদ্ধতি নতুন নয়। এই পদ্ধতিতে প্রাথমিকভাবে প্রথমে এপিড্যুরাল অ্যানাসেথেসিয়া পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয় মায়ের উপর। এরপর এই পদ্ধতির মধ্যে কৃত্রিম ভাবে লেবার পেন তৈরির চেষ্টা করেন চিকিৎসকরা। এই পদ্ধতিকে লেবার অ্যানালজেসিয়াও বলা হয়। বিশেষ এই পদ্ধতির মাধ্যমে নির্দিষ্ট ঘনত্বের একটি বিশেষ ওষুধ ইঞ্জেক্ট করা হয় মায়ের শরীরে। এতে মায়ের ব্যথার ভাব থাকে না বললেই চলে।

Bardhaman News: আইফোনের বাক্স খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ!

তবে বেবিকে পুশ করতে পারেন মা। অর্থাৎ তাঁর পেশীগুলি সক্রিয় থাকে। এর কারণে সন্তানের জ্ন্ম হয় স্বাভাবিক ভাবে যোনিপথেই। তবে সন্তান প্রসবের সময় মায়ের কোনোরকম ব্যাথা অনুভব হয় না। সেই কারণেই এই পদ্ধতিতে খুবই গ্রহণযোগ্য। আসানসোল জেলা হাসপাতালের এই কৃতৃত্বে প্রত্যেকেই খুশি। নেহা খাতুন নামে ওই প্রসূতির পরিবারের লোকজন হাসপাতালের চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। প্রক্রিয়াটি সফল করতে পেরে খুশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরাও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *