আবগারি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে ওই হোটেল থেকে বাজেয়াপ্ত সমস্ত মদই নকল বিদেশি মদ। বিভিন্ন নামী দামি মদের লেবেল ও বোতল ব্যবহার করা হলেও তার মধ্যে থাকা মদ নকল। বোতলের ভেতর থাকা অধিকাংশ মদই শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক স্পিরিট দিয়ে তৈরি বলে আবগারি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
লাইসেন্স ছাড়া মদ মজুত ও নকল মদ রাখার অভিযোগে দোকান মালিক সোমনাথ প্রামানিককে গ্রেফতার করেছে আবগারি দফতর। এই ধরনের নকল মদ কোথায় তৈরি হয়েছে এবং তা কীভাবে জেলার সীমানাবর্তী এলাকার হোটেলগুলিতে পৌঁছে যাচ্ছে তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে আবগারি দফতর। এর পিছনে কোনও মদ পাচারচক্রের যোগাযোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ডেপুটি এক্সাইজ কালেক্টর, বাঁকুড়া সদর রেঞ্জ বিশ্বজিৎ ভক্ত বলেন, ‘মা রক্ষাকালী হোটেল ও রেস্টরেন্ট নামে রাস্তার ধারে একটি দোকানে আমরা অভিযান চালিয়েছিলাম। সেখান থেকে প্রায় ১৫ বোতল মদ উদ্ধার করা হয়েছে। ৬০ বোতল ক্যান বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মদের সবটাই নকল।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাশে একটি মেলা চলছে। সেখানে যাঁরা আসছেন তাঁদের বিক্রি করার জন্য এই নকল মদ এখানে ব্যবহার করা হচ্ছিল। আমাদের কাছে গোপনসূত্রে খবর এসেছিল। তাঁর ভিত্তিতেই আমরা অভিযান চালাই। উদ্ধার হওয়া বিয়ার ক্যানগুলি পুরুলিয়া থেকে চোরাচালান করে নিয়ে আসা হয়েছে। কাদের মাধ্যমে এই ভেজাল মদ এখানে এল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই হোটেল থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হোটেল মালিকের নাম সোমনাথ প্রামাণিক। ৪০ লিটার নকল মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, যাঁর বাজারমূল্য ২৫ হাজার টাকা। বিষাক্ত স্পিরিট দিয়ে এই ভেজাল মদ তৈরি করা হয়। মানুষের কোনও বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।’