এদিনের শুনানিতে ঠিক কী ঘটল—
বিচারপতি: এই মামলার প্রেক্ষিতে কিছু কঠিন সত্যি আছে। সেই বিষয়গুলি অস্বীকার করতে পারবেন না।
কিশোর দত্ত, পর্ষদের আইনজীবী: সিঙ্গল বেঞ্চ এই শিক্ষকদের কাউকে মামলায় যুক্ত করেনি। কারও বক্তব্য শোনেনি।
বিচারপতি: কাউকে নেকড়ের মুখে ছুড়ে ফেলা হয়নি। তাদের জায়গায় রেখেই নতুন করে ইন্টারভিউ করে নতুন করে চাকরির সুযোগ দিতে বলা হয়েছে। এই বিষয়কে কী ভাবে ব্যাখ্যা করবে পর্ষদ?
লক্ষ্মী গুপ্ত, পর্ষদ আইনজীবী: কোনও হলফনামা দেওয়া হয়নি। সিঙ্গেল বেঞ্চ প্রশিক্ষকদের তালিকা চেয়েছিল। সেই বিশাল তালিকা থেকে আদালত ৩০ জনকে নিজের মতো করে বেছে নিয়েছিল। কোর্ট নিজের মতো করে প্রশ্ন তৈরি করল। তার থেকে আদালত বুঝে নিল নিয়োগ বেআইনি! সবাইকে পরে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে।
বিচারপতি: তার মানে আগে না থাকলেও পরে সবাই ট্রেনিং করে নেন? কোর্টের কিছু নির্দিষ্ট পয়েন্ট মাথায় আসছে বলে সেগুলি স্পষ্ট হয়ে নিতে চাইছে। এটা কোনও ধারনা তৈরি করে নেওয়া নয়। একটি বিষয় স্পষ্ট, ট্রেনিং পাওয়া না পাওয়া চাকরি যাওয়ার কোনও কারণ নয়।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বরখাস্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের আইনজীবী: কী করে ঘটনাটির ছয় বছর পরেও এই মামলা গ্রহণ করল সিঙ্গল বেঞ্চ! হাইকোর্টের একাধিক এজলাসে এই নিয়োগ মামলাতেই পর্যবেক্ষণ আছে। কীভাবে এত পুরনো একটি মামলা গ্রহণ করা হয়। ২০১৭ সাল থেকে দুই বছর প্রবেশন পিরিয়ড ছিল। সেই সময় কেউ চ্যালেঞ্জ করেননি।
বিচারপতি: কী ভাবে তাঁরা নিয়োগ পেলেন তা দেখতে হবে। এরা তো ঘুলঘুলি দিয়ে ঘরে ঢুকে পড়েননি। সেই পদ্ধতিটা জানা দরকার।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, বরখাস্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের আইনজীবী: কোর্ট তার আগের মামলার রায়কে রেফারেন্স হিসেবে নিয়ে চলবে। এটা রীতি। বিচারপতির প্রতি সন্মান জানিয়েও বলছি, তিনি কোর্টে বসে পার্থ চট্টোপাধ্যায় কী করছেন, CBI কোথায় গিয়েছেন, মানিক ভট্টাচার্য জেলে গেলেন কিনা, নানা বিষয় নিয়ে বলছেন। এটা কি বিচারের মধ্যে পড়ে!
জয়দীপ কর, প্রশিক্ষকদের আইনজীবী :এর আগে এপ্রিল মাসে শুধু দেরিতে আসায় মামলা খারিজ করা হয়। তারপর কী ভাবে এই অর্ডার। কঠিন সত্যি এটাই, যে ঘটনার সাত বছর পরে কোর্ট নিয়োগ নিয়ে অনুসন্ধান করছে। কঠিন সত্যি সামনে আসবে না যদি না আমাদের মামলায় যুক্ত করা হয়।