জানা গিয়েছে, সুজন সোরেন চন্দ্রী চন্দ্রশেখর হাই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর একতাল হাই স্কুলে ইলেকট্রিক হাউস ওয়ারিং অ্যান্ড মোটর বাইন্ডিং এর ছ’মাসের একটি ভোকেশনাল কোর্সে ভর্তি হয়েছিল। আজ সেই কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সময় মতো বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে সুজন।
আর তখন পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় গ্রামের এক ব্যক্তি তাঁকে জানান কালবৈশাখী ঝড়ের কারণে তাঁদের বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। সুজন মাঝে মধ্যেই ওয়ারিং এর কাজ করত। তারপরেই সুজন বৈদ্যুতিক পিলারে উঠে যায় লাইন ঠিক করার জন্য।
সেই সময়ই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় সুজনের। বৈদ্যুতিক খুঁটির উপরেই ঝুলে থাকে সুজনের নিথর দেহ। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সুজনের মৃত্যুর খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সুজনের সমাজের মানুষজনেরা। দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে আদিবাসী সামাজিক সংগঠনের মানুষজন। ঘটনাস্থলে পৌঁছন ঝাড়গ্রাম থানার IC বিপ্লব কর্মকার এবং ঝাড়গ্রামের এসডিপিও অনিন্দ্য সুন্দর ভট্টাচার্য।
বিদ্যুৎ দফতরের ঝাড়গ্রামের ডিভিশনাল ম্যানেজার মৌমিতা মাঝি বলেন, “বিদ্যুৎ দফতরের খুঁটি কিংবা বিদ্যুৎ দফতরের অন্য কোনও প্রপার্টিতে বিদ্যুৎ দফতরের অথরাইজ পার্সন ছাড়া কেউ উঠে কাজ করতে পারে না। ওই এলাকায় বিদ্যুতের কোনও সমস্যা রয়েছে তাও আমাদের দফতরকে জানানো হয়নি। আমাদের জানানো হলে আমরা তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম।”
ঘটনার পর থেকে বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে ওই এলাকায়। একতাল হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শোভন সিট বলেন, “ইলেকট্রিক হাউস ওয়ারিং অ্যান্ড মোটর বাইন্ডিং এর ছ’মাসের ভোকেশনাল কোর্সের আজ ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। সকাল ১১ টার সময় পরীক্ষা শুরু হয় । সুজন সোরেন পরীক্ষায় আসতে পারেনি। পরে জানতে পারি বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে সুজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। সুজন খুব ভালো ছাত্র ছিল।”