এদিন সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আসলে এই রনিতা, ববিতা বা পলিতা নিয়ে আমি নিজেও খুব কনফিউসড। এই গোটা ব্যাপারটা বা ববিতার গাড়ি কেনা নিয়ে আমি কোনও হাসি ঠাট্টা করতে চাইছি না। যার চাকরি যাচ্ছে বা এই যে টাকা ফেরত দিতে হচ্ছে, সেটার জন্য আমার দুঃখ হচ্ছে।”
এরপর মদন মিত্র আরও বলেন, “আবার যারা এই চাকরি পাওয়ার যোগ্য, তাঁরা চাকরি পাচ্ছে দেখেও আমার আনন্দ হচ্ছে। কিন্তু এই মুহূর্তে গোটা ব্যাপারটি দেখেই আমার খুব কনফিউসড লাগছে। আমরা যারা গণতন্ত্রের দায়িত্বে রয়েছি, বা যারা বিচারব্যবস্থার দায়িত্বে রয়েছেন, সবার কাছে আমি হাতজোড় করে আবেদন জানাচ্ছি, আমরা যেন মানুষকে বেশি কনফিউসড না করি।”
সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “অঙ্ক কিছুই মিলছে না।” এই প্রসঙ্গে তিনি টেনে আনেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাও। মদন বাবু বলেন, “আজ মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন কংগ্রেস বা যে কোনও দল, যে যেখানে বেশি শক্তিশালী, তাঁকে সেখানে সমর্থন দিতে হবে। এটা স্পষ্ট কথা। মানে যাকেই যা বলুন, স্পষ্ট ভাবে বলুন।”
এরপরেই তিনি আবার ফিরে আসেন আদালতের রায় প্রসঙ্গে। নাম না করে বিচারকদের উদ্দেশ্যে মদন মিত্র উপদেশ দিয়ে বলেন, “স্পষ্ট কথা বলুন, যেমন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন। আজকে একটা কথা, আবার বিকেলেই আর একটা কথা বলে মানুষকে দোলাচলে রাখবেন না। অনেক মানুষ এগুলি বুঝতে না পেরে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন, অনেক মানুষ মারা যাবেন। স্পষ্ট কথা বলে সেই কথা থেকে দয়া করে সরে আসবেন না।”
এদিন মদন মিত্র কথা বলেন রাজ্যে ক্রমবর্ধমান DA বিতর্ক নিয়েও। বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিষ্কার বলে দিয়েছেন কেন্দ্র যদি আমাদের ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা দেয়, তাহলেই ৩% হারে DA দেওয়া যাবে। DA হল ঐচ্ছিক, বাধ্যতামুলক নয়।”
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, তিনি যেদিন থেকে রাজনীতি করছেন, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত কখনও হাইকোর্টের রায় দেখে বোকা হননি। তিনি গোটা বিষয়টির মানেই বুঝতে পারছেন না।