তৃণমূল নেতা তথা মানিকচক ব্লক তৃণমূলের সেক্রেটারি সানোয়ার আলি পারভেজের দাবি, “মোটা অঙ্কের টাকা কমিশনের বিনিময়ে নিজেদের পেটুয়া ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে সকলকে অন্ধকারে রেখে গোপনে টেন্ডার করেছেন প্রধান”। নির্ঘণ্ট অনুযায়ী এদিন ছিল টেন্ডার ড্রপিং ও টেন্ডারবিট ওপেনের দিন।
আর এই নিয়ে মানিকচক পঞ্চায়েত চত্বর ছিল সরগরম। কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। মানিকচক পঞ্চায়েতে গিয়ে দেখা গেল পঞ্চায়েত দফতরের ভিতরে দফায় দফায় বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছে দুই পক্ষ। এক পক্ষের দাবি, সোমবার যে টেন্ডার ড্রপিং ও বিট ওপেনের দিন তা তারা জানতেন না।
গত শনিবার স্পিড পোস্টের মাধ্যমে একজন পঞ্চায়েত সঞ্চালক টেন্ডারবিট ওপেনের নোটিশ পান। আর এতেই তারা প্রচন্ড ক্ষেপে যান। পঞ্চায়েত সদস্যা ফুলোবতি চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, “পঞ্চায়েতে যে এত টাকার টেন্ডার হচ্ছে সেই ব্যাপারে আমাদের কিছু জানা নেই। সরাসরি টেন্ডার বিট ওপেনের নোটিশ পেয়েছি।
আমাদের একেবারে অন্ধকারে রেখে মোটা টাকার বিনিময়ে নিজেদের পেটুয়া ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দিতে এমনটা করছেন প্রধান। আমরা সমস্ত ঘটনার বিবরণ জানিয়ে মানিকচকের BDO-কে লিখে অভিযোগ দায়ের করেছি। অবিলম্বে এই টেন্ডার বাতিল করে নতুন করে টেন্ডার করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি”।
তবে সমস্ত অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন মানিকচক পঞ্চায়েত প্রধান বিউটি মণ্ডল। তিনি দাবি করে বলেন, “সমস্ত নিয়ম মেনেই টেন্ডার হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে পঞ্চায়েত এলাকায় উন্নয়ন ব্যাহত করতে বিরোধীরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।
এমনকি তৃণমূলের নেতা সানোয়ার আলি পারভেজ আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা কাটমানি দাবি করেছিলেন। আমি তা দিতে অস্বীকার করায় এই মিথ্যে অভিযোগ করছে তৃণমূল। তাঁদের এই উদ্দেশ্য সফল হবে না”।