এগরার বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে মমতা বলেন, ‘এগরাতে খুবই প্যাথেটিক ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেটা ওড়িশা সীমান্ত। যে ব্যক্তি এই বেআইনি বাজি কারখানা চালাচ্ছিল, তাঁকে এগরা থানা আগেও একবার গ্রেফতার করেছিল। বেআইনি কারখানা বন্ধ করার জন্য আদালতে আবদেন করা হলেও সে জামিন পেয়ে যায়। এখানে বাজি তৈরি করে ওড়িশায় পাঠানো হত। জামিন পাওয়ার পর কয়েকদিন ধরে এখানে শুরু করে।’
মমতা (Mamata Banerjee) আরও বলেন, ‘সবথেকে দুর্ভাগ্যের বিষয় এই বাজি কারখানায় স্থানীয় ছেলেমেয়রা কাজ করে। সেই কারণে কোনও ঘটনা ঘটলে সব দায়টা তাদের উপরই গিয়ে পড়ে। কয়েকদিন আগে নির্দলকে সভাপতি করে এই পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করে। তাদের খবর রাখা উচিত ছিল। এখনও অবধি যা খবর, তাতে পাঁচজন মারা গিয়েছে এবং সাতজন আহত হয়েছেন। পরিবারকে আড়াই লাখ টাকা ও গুরুতর আহতদের এক লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।’
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছেন। এমনকী বিজেপির হাসপাতাল বলে স্থানীয় বিধায়ককেও সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও জানিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনায় সিআইডিতে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে গিয়ে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছেন। মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে স্থানীয় বিধায়ককে নিয়ে সেখানে যাওয়ার কথা বলেছি। পুলিশকে আরও বেআইনি বাজি কারখানা খুঁজে বের করতে হবে এবং নাকা চেকিং বাড়াতে।’
এগরার বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘যাঁরা এনআইএ করে চিৎকার করছে তাদের বলব, NIA তদন্ত হলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। আমাদের কেউ ওখানে জড়িত নয়। NIA তদন্ত হলেও আসল দোষীরা যাতে ধরা পড়ে সেটাই আমরা চাই। মালিক যেখানেই পালাক, তাঁকে আমরা ধরে আনব।’