কয়েক মিনিটের জন্য বিস্তীর্ণ এলাকা হঠাৎই ছায়াশূন্য হয়ে যাওয়ার বিষয়টা আপাত ভাবে খুব অবাক করে দেওয়ার হলেও জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে ব্যাপারটা স্বাভাবিক।
কেন এমনটা হয়?
বিড়লা তারামণ্ডলের বিজ্ঞান আধিকারিক বিপাশ দাশগুপ্ত বলেন, ‘পৃথিবী নিজের অক্ষরেখা বরাবর সাড়ে ২৩ ডিগ্রিতে হেলে থেকে সূর্যের চারদিকে প্রদক্ষিণ করছে। এমন ভাবে হেলে থাকার জন্য আমাদের, পৃথিবীর মানুষের চোখে সূর্য বিষুবরেখা থেকে উত্তরে কর্কটক্রান্তি এবং দক্ষিণে মকরক্রান্তি রেখার মধ্যে যাতায়াত করে। এই পথে যে যে জায়গার উপর সূর্যের কিরণ লম্বালম্বি পড়ে, সেই সব জায়গা কিছুক্ষণের জন্য ছায়াশূন্য হয়ে যায়।’
বিপাশ দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, সূর্য পুরোপুরি মাথার উপর এলে তবেই বস্তুর ছায়া অদৃশ্য হয়। আর সূর্য মাথার উপরে থাকে মাত্র কয়েক মুহূর্তের জন্য। তার পরেই সূর্য সরতে শুরু করে। তবে পরের কয়েক মিনিট ছায়ার দৈর্ঘ্য এতটাই কম থাকে যে, কার্যত ছায়াশূন্য বলেই মনে হয়।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, কলকাতা ছাড়াও ভুবনেশ্বর, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, কন্যাকুমারী, মুম্বই, পুনে, পানাজির মতো যে সব জায়গা বিষুবরেখা থেকে কর্কটক্রান্তি রেখার মধ্যে পড়ে, সেই জায়গাগুলোর বাসিন্দারাই এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হবেন। অন্য দিকে, দিল্লি বা চণ্ডীগড়ের মতো যে সব শহর কর্কটক্রান্তি রেখা থেকে অনেকটাই উত্তরে, সেই সব জায়গা এমন ভাবে ছায়াশূন্য হবে না। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পরামর্শ, ওই দিন নির্দিষ্ট সময়ের অন্তত আধ ঘণ্টা আগে থেকে পর্যবেক্ষণ করলে ক্রমশ ছায়াশূন্য হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি ভালো ভাবে উপভোগ করা যাবে।