সেখানেই তিনি আক্রমণ করে বলেন, “জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলের অবস্থা ছাগলের তিন নম্বর বাচ্ছার মতো। কারণ টা কি জানেন? ওরা এতদিন নিজেদের সর্বভারতীয় দল বলে দাবি করত। কিন্তু কিছুদিন আগেই ওদের সর্বভারতীয় দলের তকমা ঘুচে গিয়েছে। তাও অভিষেক নিজেকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলে বেড়ান।”
তাই তিনি তৃণমূলকে ‘ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা’ বলেছেন বলে দাবি ওন্দার BJP বিধায়ক অমরনাথ শাখার। অমরনাথ শাখা এদিন তৃণমূলের নব জোয়ার কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে বলেন, “উনি এমন কে ‘হরিদাস পাল’ যে তার জন্য পাঁচশো পুলিশ লাগবে আর দিনে চার থেকে পাঁচ কোটি টাকা খরচ করতে হবে? এই যে নব জোয়ার না কি যেন একটা হচ্ছে, এটার কারণে যত টাকা খরচ হচ্ছে সব আমার আপনার ট্যাক্সের টাকা। এগুলো মানুষকে ভাবতে হবে। কি হচ্ছে এত কোটি কোটি টাকা খরচা করে! সব চোরগুলো এক জায়গায় হচ্ছে। তৃণমূলের সবাই চোর। কেউ ছোট চোর, কেউ বড় চোর।”
একই সঙ্গে এই রাজ্যকে ‘পিসি-ভাইপো’ মিলে ‘বরবাদ’ করে দিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন অমরনাথ। স্থানীয় BJP কর্মীদের প্রতি অমরনাথ শাখার নিদান আগামী পাঁচ বছর ভালো থাকার জন্য পঞ্চায়েত ভোটের দিন নাওয়া খাওয়া ভুলে এলাকার বুথ রক্ষা করতে হবে।
উল্লেখ্য, দলীয় বিভিন্ন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এর আগে একাধিকবার উত্তেজিত মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করেছেন ওন্দার BJP বিধায়ক অমরনাথ শাখা। এক সপ্তাহ আগেই তিনি মন্তব্য করেছেন, কেউ ভোট লুঠ করতে এলে, যেমন কুকুর আসবে তেমন মুগুর দিয়ে ব্যবস্থা করতে হবে। তাঁর এই কথাতে ব্যাপক হইচই হয় জেলা জুড়ে।
এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাঁকুড়ার BJP বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা অভিযোগ করেন, “তালডাংরা বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আড়াল করে BJP সমর্থকদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে পুলিশ।” এই অবস্থায় ফের ওই ঘটনা ঘটলে ‘পরিবর্তন’-র পরবর্তী সময়কালে সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ‘ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।