Calcutta High Court : আচার্য মুখ্যমন্ত্রী, জনস্বার্থ মামলা হাইকোর্টে – calcutta high court division bench directs state to join state in case regarding governor non signature on bill appointing chief minister as acharya of state university


এই সময়: মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে বসানোর বিলে রাজ্যপালের সই না-করা সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যকে যুক্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। মঙ্গলবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে এই জনস্বার্থ মামলার আবেদনপত্র রাজ্যপালের কাছে পাঠাবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। এই মামলার গ্রহণযোগ্য নয় বলেই এদিন আদালতে মত প্রকাশ করেন কেন্দ্রের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য। মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ জুন।

Vice Chancellor Recruitment : ভিসির খোঁজে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি, সার্চ কমিটিতে থাকছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিত্ব
সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল নন, হবেন মুখ্যমন্ত্রী–এই মর্মে গত বছর জুনে বিধানসভায় পাশ হওয়া বিলে এখনও সই করেননি রাজ্যপাল। সংবিধানের ২০০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, রাজ্যপাল ওই বিল অনুমোদন করতে পারেন, সই না-করে ফেরত পাঠাতে পারেন অথবা রাষ্ট্রপতির কাছেও পাঠাতে পারেন। সংবিধান অনুযায়ী, খুব দ্রুত সেটা করার কথা।

Mamata Banerjee : রাজভবন রাখার দরকার কী, প্রশ্ন তুললেন মমতা
কিন্তু প্রায় এক বছর ধরে সেই বিল পড়ে রয়েছে রাজভবনে। এই অবস্থায় ওই বিল নিয়ে উচ্চবাচ্য নেই রাজভবনের। তাই দ্রুত অচলাবস্থা কাটাতে জনস্বার্থ মামলা হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে বিচারপতি মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়।

এদিকে, উপাচার্য বাছাইয়ের সার্চ কমিটিতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট বা সেনেটের বদলে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি থাকার বিরুদ্ধে রাজ্যের ন’টি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও সংগঠন যৌথভাবে বিবৃতি দিয়েছে এদিন। পাশাপাশি এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জুটা)।

Kazi Najrul University : আচার্যের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে উপাচার্য, আজ শুনানি
তাদের তরফে রাজ্যপালকে জানানো হয়েছে, এই অর্ডিন্যান্স সম্পূর্ণভাবে ইউজিসির বিধি বিরোধী। বিষয়টি সংশোধন করা হোক। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী শিক্ষক সংগঠন আবুটার সহসভাপতি তরুণ নস্করের দাবি, অর্ডিন্যান্সে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় বা সমতুল স্তরের অভিজ্ঞতা না থাকলেও উপাচার্য হওয়া যাবে। অর্থাৎ, আগের মতোই কলেজ অধ্যক্ষরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা না থাকলেও উপাচার্য হতে পারবেন। এই অর্ডিন্যান্স সুপ্রিম কোর্টের রায় ও ইউজিসি-র বিধির ঘোর বিরোধী।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *