এদিন তৃণমূল বিধায়ক মানস ভুঁইয়া বলেন, “প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে তদন্ত হবে। কোনও দোষী গ্রেফতার হবে না। এর আগেও এরকম ঘটনা ঘটেছিল।” মুখ্যমন্ত্রী নিহতদের পরিবারে পাশে থাকবে এবং তদন্ত জোর কদমে হবে বলে জানান তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। উল্লেখ্য, এদিন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল গ্রামে ঢুকতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বাধা দান করে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্থানী কিছু লোকজন স্লোগান তুলতে থাকে।
এগরার ঘটনায় গতকাল রাতেই ঘটনাস্থলে যান সিআইডি আধিকারিকরা। বুধবার ঘটনাস্থলে ফরেনসিক টিম এবং বম্ব স্কোয়াডের সদস্যদের যাওয়ার কথা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন দাহ্য বস্তুর নমুনা সংগ্রহ করবেন ফরেনসিক আধিকারিকরা। নাইট্রেট, সালফার সহ বাজিতে ব্যবহৃত একাধিক রাসায়নকি পদার্থ পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন সকালেই ঘটনাস্থলে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ঘটনাস্থল থেকেই NIA তদন্তের জোরালো দাবি জানান। এমনকি এলাকা থেকে তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়ে যেতে পারে সেই আশংকা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার ব্যাপারের দাবি জানান তিনি। গোটা ঘটনার জন্য পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি, গোটা ঘটনা নিয়ে NIA তদন্তের দাবিতে ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি পাঠিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার খাদিকূল গ্রামে এক বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এলাকায় কেঁপে যায় বিস্ফোরণের তীব্রতায়। একাধিক মানুষের দেহ ছিটকে পড়ে আশেপাশে। বিস্ফোরণের কারণে নয়জন ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। অভিযুক্ত বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগ পলাতক। তদন্তকারী আধিকারিকরা মোবাইলে টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে ভিন রাজ্যে গিয়েছে বলে খবর। গতকালই এই ঘটনার জন্য CID তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি NIA তদন্ত নিয়ে তাঁর কোনও বিরোধ নেই বলেও জানান তিনি।