সুকনার কাছে হাতির আনাগোনা লেগেই থাকে। হাতির করিডরও রয়েছে ওই এলাকায়। মহানন্দা অভয়ারণ্য থেকে মাঝেমধ্যেই হাতি বেরিয়ে আসে রাস্তায়। সুকনা, চামটা ও শালবাড়ি, রংটং সংলগ্ন এলাকায় হাতির আগমন মাঝেমধ্যেই হয়। কিন্তু, মঙ্গলবারের ঘটনায় মানুষের সচেতনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে হাতির একটি দল সুকনা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে রাস্তা পারপার করছিল। ওই এলাকাটি হাতির করিডর বলেই পরিচিত। যে কারণে বন দফতরের তরফে সেখানে গাড়ি ধীরে চালানোর নির্দেশকা দেওয়া রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ৩০-৩৫ টি হাতির একটি দল জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে রাস্তা পারাপার করছিল। হাতি দেখে দুই দিকেই গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। এদিকে হাতির দল বের হওয়ার সময় হঠাৎ অতি উৎসাহী দুই ব্যক্তি বাইক নিয়ে সেখানে ঢুকে পড়েন। এরপরই হাতির দলের মুখে বাইক নিয়ে পড়ে যায় ওই দু’জন। সেসময় ক্ষিপ্ত হয়ে হাতির দল এগিয়ে আসে তাঁদের দিকে। কোনওমতে বাইক সেখানেই ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় দু’জন। পরে হাতির দলটি জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি সেই ভিডিয়ো করেন। জানা গিয়েছে হাতির দলটি চামটা হয়ে ফের জঙ্গলে ঢুকে পড়ে।
কার্শিয়াং ডিভিশনের বন কর্তারা জানান, সুকনা ও মধুবনের মাঝে জঙ্গলের মধ্যে ওই এলাকাটি আগাগোড়াই হাতির করিডর বলে পরিচিত। প্রায়শই হাতি বের হয়। সকলের সতর্ক থাকা উচিত। কয়েকমাস আগে শালবাড়ি এলাকাতেও একটি হাতি বেরিয়ে আসে। বেশ কয়েকটি বাড়িতে হাতি ঢুকে পড়ে। এরপর মাটিগাড়া এলাকাতেও হাতি ঢুকে পড়েছিল। যদিও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।
বন কর্তারা বলছেন, এরকম বোকামির জন্য বেঘোরে প্রাণ যায়। আর দোষ হয় বন দফতরের! কড়া শাস্তি হওয়া উচিত এরকম ক্ষেত্রে।