একাধারে, বুধবার দুপুরে কুড়মি আন্দোলন নিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় কুড়মি সমাজের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে বসেন। বৈঠকে কুড়মি সমাজের পক্ষে বৈঠকে ছিলেন শুভেন্দু মাহাতো, সুনীল মাহাতো ও বিজয় মাহাতো। এছাড়াও দুই তৃণমূল বিধায়ক শান্তিরাম মাহাতো ও সুশান্ত মাহাতো এবং ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ার তৃণমূল নেতৃত্ব রয়েছেন।
অন্যদিকে, দিলীপ ঘোষের কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিরা আজ দিলীপ ঘোষের বাংলো ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালো। লাথি মেরে বন্ধ থাকা দরজা ভেঙে ঢুকে পড়ল প্রায় শতাধ িক কর্মী সমাজের লোকেরা এরপর ভিতরে ঢুকে দরজা ভেঙে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করে কুড়মি সমর্থকরা। দিলীপ ঘোষের বাংলোতে ভাঙচুর ও চালায় সমর্থকেরা।
বুধবার বেলার দিক ঠেকিয়ে দিলীপ বাড়ির সামনে হাজির হয় কুড়মি আন্দোলনকারীরা। শুধু ভাঙচুর নয়, কাপড় খুলে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। দিলীপ ঘোষের রেলওয়ে বাংলো ৬৭৭ এর বাইরে প্রদর্শন করে তাঁরা। কুড়মি সমাজের আন্দোলনে উত্তাল খড়্গপুর । নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে আরো আন্দোলন তীব্র হবে বলে জানান কুড়িমি অন্যতম নেতা অজিত মাহাতো। অজিত মাহাতোর নেতৃত্বে বিশাল কর্মী সমাজের লোকেরা দিলীপ ঘোষের ঘেরাও করে এরপর অজিত মাহাতো জানায় সমস্ত থানাতে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার লালগড়ে একটি জনসভা যাওয়ার মুখে বাধাপ্রাপ্ত হন দিলীপ ঘোষ। তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখতে থাকেন কুড়মি আন্দোলনকারীরা। এই ঘটনার পর দিলীপ ঘোষকে বলতে শোনা যায়, ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে কাপড় খুলে দেব আমি। দিলীপ ঘোষের পিছনে যেন লাগতে না আসে।’ দিলীপের এই মন্তব্যের পরেই নিন্দার ঝড় বয়ে যায় একাধিক মহলে। এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করা হয় কুড়মি আন্দোলনকারীদের তরফে।
পরবর্তীকালের কুড়মি প্রতিনিধিদের তরফে ২৪ ঘণ্টার জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় ক্ষমা চাওয়ার জন্য। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত দিলীপ ঘোষ সেভাবে কুড়মি সমাজের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষমা প্রার্থনা করেননি বলেই আজকে দিলীপ ঘোষের বাসভবনে হামলা চালানো হলে বলেই জানিয়েছে কুড়মি আন্দোলনকারীরা।