গত ৯ মার্চ অন্নপূর্ণা ও মাকালু পর্বত শৃঙ্গ জয় করার লক্ষ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন পিয়ালী। কিন্তু বাবার অসুস্থতার কারণে মাকালু অভিযান না করেই বাড়ি ফিরতে হয় পাহাড় কন্যাকে। গত ১৭ এপ্রিল সোমবার সকালে পৃথিবীর দশম উচ্চতম (৮০৯১ মিটার) অন্নপূর্ণা পর্বত শৃঙ্গ জয় করেন তিনি।
২০১৮ সালে পৃথিবীর অষ্টম উচ্চতম শৃঙ্গ মানাসুলু জয় করেছিলেন পিয়ালী। তারপর ২০২১ সালে সপ্তম উচ্চতম শৃঙ্গ ধৌলাগিরি জয়। ২০২২ সালে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিখড় এভারেস্টে ওঠেন পিয়ালী।
তার দুদিন পরেই পৃথিবীর চতুর্থ উচ্চতম শৃঙ্গ লোৎসে জয় করেন। এবার লক্ষ্য ছিল অন্নপূর্ণা আর মাকালু এক সঙ্গে জয়। কিন্তু বাবা তপন বসাকের অসুস্থতার খবরে গত ২৪ এপ্রিল বাড়ি ফিরে আসেন পিয়ালী। ২৭ এপ্রিল মাকালু অভিযানে বের হন। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে মাকালু বেস ক্যাম্পের উদ্দেশ্য রওনা দেন তিনি।
আজ সকালে সামিট করেন। এই নিয়ে ছ’টি আট হাজারি পর্বত শৃঙ্গ জয় করলেন পিয়ালী। এদিন চন্দননগরের বাড়ি থেকে পিয়ালির মা স্বপ্না বসাক বলেন, “মেয়ের সাফল্যে মা হিসেবে আমি গর্বিত। মেয়ে ভালো উপহার দিয়েছে। তবে মেয়ে সাফল্য পেলেও উৎকণ্ঠা থেকে যায়। প্রতিটা মুহূর্ত কাটে উৎকণ্ঠের মধ্যে। যতক্ষণ না মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে পারি ততক্ষণ এই উৎকণ্ঠা থেকেই যায়। আজ সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ খবর পাই মেয়ে মাকালু শৃঙ্গ জয় করেছে। এর আগে নেপাল হয়ে চৌ শৃঙ্গ জয় করতে বেরিয়েছিল। কিন্তু সাত হাজার দুশো মিটার যাওয়ার পর আর যেতে পারেনি। ফলে চৌ শৃঙ্গ জয় করা হয়ে ওঠেনি পিয়ালীর।”
পিয়ালীর মা আরও বলেন, “শুধু পিয়ালী নয় তার সঙ্গে ৩০ জন শেরপা তারাও নেমে আসতে বাধ্য হয়। মাকালু শৃঙ্গ জয় করলেও তার টাকা এখনও সেভাবে জোগাড় হয়নি। এজেন্সি থেকে বারবার বলছে টাকার কথা। সরকারি সাহায্য এখনও পায়নি। মন্ত্রী সুজিত বসু, মদন মিত্র তাদের কাছেও গিয়েছিল। সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও গিয়েছিল, তারা যদি এগিয়ে আসেন ও পাশে দাঁড়ান তাহলে ভালো হয়।”