এমনই অভিযোগ পাওয়া গেল এবার আলিপুরদুয়ার শহর থেকে। অনলাইনে অর্ডার করা বিরিয়ানি খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এক শিশু। আর তারপরেই মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করল পুরসভার বড়বাজার সংলগ্ন এলাকার ওই পরিবার।
জানা গিয়েছে গত সোমবার রাতে অনলাইনে জংশন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন একটি দোকান থেকে বিরিয়ানি অর্ডার করে ওই পরিবার। সেই বিরিয়ানি খাওয়া মাত্রই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই পরিবারের এক শিশু। এরপর তড়িঘড়ি জেলা হাসপাতালের এক চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই শিশুকে ওষুধ খাওয়ানো হয়। পরবর্তীতে শিশুটির শারীরিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ওই শিশুর পরিবারের অভিযোগ অনলাইনে আনা ওই খাবারের অযোগ্য বিরিয়ানি খেয়ে ওই শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সেই ঘটনায় মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ বিরিয়ানির দোকানের বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক, মহকুমা শাসক এবং ফুড সেফটি অফিসারকে লিখিত অভিযোগ জানান ওই শিশুর পরিবার।
ওই শিশুটির বাবা বলেন, “সোমবার বাড়িতে বাচ্চাটি বিরিয়ানি খাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করে। তারপর বাড়িতে অর্ডার করে বিরিয়ানি এনে খেতেই সমস্যা শুরু হয়।” এদিন অভিযোগ পাওয়া মাত্রই জংশন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকার ওই বিরিয়ানির দোকানে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালান আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার।
এরপরে আলিপুরদুয়ার জেলা শহরের বিভিন্ন বিরিয়ানির দোকানগুলিতে অভিযান চালানো হয়। এদিন অভিযানে নেমে বিরিয়ানির দোকানগুলির পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং খাবারের গুণগত মানের বিষয়ে যাচাই করেন মহকুমা শাসক। একাধিক বিরিয়ানির দোকান গুলিকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন খাবার তৈরির বিষয়ে হুঁশিয়ারি দেন আলিপুরদুয়ারের মহকুমা শাসক বিপ্লব সরকার।
মহকুমা শাসক বলেন, “পচা বিরিয়ানি ডেলিভারি দেওয়ার একটা অভিযোগ আমরা পেয়েছি। সেই সূত্রেই আজ এই জায়গায় আমরা অভিযান চালালাম। সব দোকানের মালিককে আমরা ফুড সেফটির বিষয়ে জানিয়েছি। আর বলে দেওয়া হয়েছে যদি এরপর আর কোনও অভিযোগ আসে তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।” যদিও খাবারের দোকানের মালিকদের দাবি, তাঁদের দোকানে কোনও বাসি বা পচা খাবার বিক্রয় করা হয় না।