এই মেশিনের মধ্যে দিয়ে থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্ণয় করা হয়ে থাকে। এদিকে দীর্ঘদিন থেকে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মেশিন বিকল হয়ে পরে থাকায় দেখা দিয়েছে সমস্যা।
কিছুটা ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের।
ঘটনার জেরে ব্যাপক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সমাজ কর্মী তথা থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত কৌশিক ভট্টাচার্য্য। তিনি জানিয়েছেন, “মেশিনটি দীর্ঘদিন থেকে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। হাসপাতালের পক্ষ থেকে বারবার স্বাস্থ্য দফতরে আবেদন জানিয়েও এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি।”
গত ৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবসে কৌশিক বাবু মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার প্রিয়ঙ্কর রায়ের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। থ্যালাসেমিয়ার বিষয়ে সকলকে সচেতন করেছেন তিনি। এই বিষয়ে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি প্রিয়ঙ্কর রায় বলেন, “সমস্যার বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্য দফতর এবং রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনে জানানো হয়েছে। তবে পরিষেবা ব্যাহত হয়নি। এখান থেকে রোগীদের রক্তের নমুনা পাঠানো হচ্ছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। সেখান থেকে থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্ণয়ের প্রক্রিয়া চলছে।”
পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে প্রতিবছর ১ লাখ শিশু এই রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেন। থ্যালাসেমিয়া রক্তের একটি রোগ। এই রোগ মা-বাবার থেকে ত্রুটিপূর্ণ জিনের মাধ্যমে সন্তানের শরীরে আসে। তাই এটি একটি বংশগত রোগ। এই রোগে আক্রান্তের শরীরের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম থাকে। হিমোগ্লোবিন শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন বয়ে নিয়ে যায়।
হিমোগ্লোবিন তৈরি হয় আলফা এবং বিটা প্রোটিন দিয়ে। যদি এই প্রোটিনগুলোর উৎপাদন কমে যায়, তবে শরীরে হিমোগ্লোবিনের উৎপাদনও কমে যায় আর, থ্যালাসেমিয়া হয়। আর এরকম একটি বড় রোগ নির্ণয়ের মেশিন খারাপ হয়ে যাওয়ায় ডাক্তার থেকে রোগীর আত্মীয় সকলেই।
হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে বেশ কয়েকবার অভিযোগও জানিয়েছেন থ্যালাসেমিয়া রোগীদের আত্মীয়রা। এখন কতদিনে রায়গঞ্জের থ্যালাসেমিয়া ইউনিটে নির্নায়ক পরিষেবা স্বাভাবিক হয় সেটাই দেখার।