গত মার্চ মাসে সার্ভে পার্কের একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। বাড়িটি শান্তিপ্রসাদের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বলেই উঠে আসে। সেখান থেকে প্রচুর সোনার গয়না এবং নগদ। এই চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৬০ লাখ টাকার গয়না উদ্ধার হয়। একই সঙ্গে উদ্ধার হয় লাখ লাখ টাকা নগদও।
শুধু তাই নয়, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা ঢালা হয়েছিল বিউটি পার্লারেও? চার্জশিটে জানানো হয়, এক ঘনিষ্ঠর নামে বিউটি পার্লারও খোলেন তিনি।
উল্লেখ্য, SSC-র নিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান ছিলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে বারবার উঠে এসেছিল তাঁর নাম। এরপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, সরকারি পদে তাঁর কার্যকালের জন্য নির্ধারিত বয়স পার হয়ে যাওয়ায় ঊর্ধ্বসীমার নিয়মেও বদল আনা হয়েছিল।
শান্তিপ্রসাদের সার্ভে পার্কের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে একাধিক নথি পাওয়া গিয়েছিল বলেও CBI সূত্রে জানা গিয়েছিল। এবার সামনে এল নয়া তথ্য। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে একাধিক নয়া তথ্য উঠে আসছে।
গত বছর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। ED-র হাতে গ্রেফতার হন তিনি। একইসঙ্গে অভিনেত্রী তথা মডেল অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করে ED। শুধু টাকা নয়, উদ্ধার করা হয় সোনার গয়নাও।
ইতিমধ্যেই আদালতে অর্পিতা দাবি করেছেন এই অর্থ তাঁর নয়। অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তিনি কোনওভাবেই জড়িত নন। অর্পিতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া অর্থের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই।
শুধু পার্থ-অর্পিতা-শান্তিপ্রসাদ নয়, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, অয়ন শীলকেও। রাজ্য়ে নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। সরব হয়েছেন বিরোধীরা। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তাঁরা। পালটা তৃণমূলের নেতাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।