Train Accident : দুই লাইনের মাঝে ছটফট করা বধূকে রেখে ছুটল ট্রেন, রেলের ভূমিকায় বিস্ময় – a train running over a housewife leg on the bandel katwa line has raised questions about the role of the railways


সূর্যকান্ত কুমার, কালনা
রেললাইনে গুরুতর জখম অবস্থায় তরুণী বধূকে পড়ে থাকতে দেখেও তাঁকে উদ্ধার না-করে কীভাবে ট্রেন চালিয়ে দেওয়া হলো–তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে রেল কর্তৃপক্ষও। সোমবার ব্যান্ডেল-কাটোয়া সেকশনে কালীনগর হল্ট স্টেশনে রুমাইয়া খাতুন নামে ওই অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর পায়ের উপর দিয়ে ট্রেন চলে যায়। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি ‘এই সময়’) প্রকাশ্যে এসেছে মঙ্গলবার। তারপর রেলের ভূমিকায় সরব হন অনেকেই। তাঁদের প্রশ্ন, লাইনে জীবিত অবস্থায় একজন পড়ে থাকলেও তাঁকে উদ্ধার না করে কী ভাবে চলতে পারে ট্রেন?

Train Accident : কাটা পা নিয়ে লাইনে কাতরে মৃত্যু বধূর, এগোলেন না কেউ
পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘স্বাভাবিক ভাবে এটা হওয়া উচিত নয়। ওই মহিলাকে উদ্ধারের জন্য ট্রেনের সামনে বা পিছনে যাওয়া উচিত ছিল। কী ঘটেছিল, তা জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’ যাত্রীরা অবশ্য ২৪ ঘণ্টা পরেও ঘটনার ভয়াবহতায় শিউরে উঠছেন। রেলকর্মীরা প্রকাশ্যে না বললেও সামগ্রিক ভাবে সমন্বয়ের অভাবের কথা স্বীকার করে নিচ্ছেন।

Bardhaman Bandel Local : শক্তিগড়ে দুর্ঘটনায় সব দোষ চালকের বলে প্রশ্ন পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ
কালীনগর স্টেশনের দায়িত্বে হল্ট এজেন্ট থাকলেও এর সিগন্যালিং থেকে যাবতীয় বিষয় নিয়ন্ত্রিত হয় নবদ্বীপ ধাম থেকে। সেখানকার স্টেশন সুপারিন্টেন্ডেন্ট প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, ‘ঘটনাটি ডাউন লাইনে ঘটেছিল। তারপর ডাউন ট্রেন কিছুক্ষণ কালীনগরে দাঁড়িয়েও থাকে। ওই ট্রেনের মোটরম্যান ও গার্ড সমুদ্রগড় স্টেশনে গিয়ে রিপোর্টে জানান, লাইনে দেহ পড়ে রয়েছে।

Bardhaman Bandel Local : শক্তিগড়ের কাছে লাইনচ্যুত বর্ধমান-ব্যান্ডেল লোকাল, তীব্র চাঞ্চল্য
আপ ট্রেনের মোটরম্যান ও গার্ডও আমাদের কাছে একই রিপোর্ট করেছেন। মহিলাকে লাইন থেকে উদ্ধারের পর ফের ওই লাইনে গাড়ি চলাচল শুরু হয়।’ যদিও বাস্তবের সঙ্গে এই বক্তব্যের মিল নেই বলে দাবি নিত্যযাত্রীদের। জীবিত, যন্ত্রণায় কাতরানো এক মহিলাকে লাইন থেকে উদ্ধার না করে কী ভাবে ট্রেন চলে গেল, সেই প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি সুপারিন্টেন্ডেন্টের কাছে।

Local Train News : ব্যাহত বর্ধমান-হাওড়া ট্রেন পরিষেবা! লোকাল না পেয়ে হয়রানির মুখে যাত্রীরা
তাঁর যুক্তি, ‘সিগন্যাল ছিল। তাই হয়তো ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। হল্ট এজেন্টও সেই সময়ে টিকিট দিতে ব্যস্ত ছিলেন। আমি তো ঘটনাস্থলে ছিলাম না। এর বেশি কিছু আমি জানি না।’ তবে ওই সেকশনেরই অন্য এক স্টেশনের আধিকারিক বলেন, ‘ট্রেনের নীচে জীবিত অবস্থায় কেউ থাকলে তাকে উদ্ধারের পরই ট্রেন ছাড়াটা নিয়ম বলা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে জিআরপি বা আরপিএফ তাকে উদ্ধার করবে।’

Dakshin 24 Pargana : চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে জখম ব্যক্তি, হাসপাতালের বাইরে ফেলে পালানোর অভিযোগ RPF-এর বিরুদ্ধে!
সমন্বয়ের অভাব ও তথ্য আদান-প্রদানে রেলের নিজস্ব নেটওয়ার্ক যে ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে, তা যাত্রীদের কথায় স্পষ্ট। এই লাইনের নিত্যযাত্রী সায়ক দাস, সৌনক সাহা বলেন, ‘এই সেকশনে হঠাৎই কয়েকটি স্টেশনকে বদলে হল্ট স্টেশন করে দেওয়া হয়েছে। যেমন বাঘনাপাড়া স্টেশন। এই স্টেশনগুলির নিজস্ব সিগন্যালিং ব্যবস্থা, কর্মী কিছুই নেই। ফলে অভিভাবকহীন স্টেশন হলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *