বুধবার জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তের নেতৃত্বে জেলা কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দন সন্তানহারা অসীম দেবশর্মার সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান।অসহায় দুস্থ অসীমবাবুকে অসুস্থ শিশু সন্তানের চিকিৎসা খরচ বাবদ জেলা কংগ্রেসের পক্ষ কিছু আর্থিক সাহায্যও করা হয়। উল্লেখ্য, কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গিপাড়া গ্রামে অসীম দেবশর্মার তার পাঁচ মাসের শিশু সন্তানের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হবার পর অর্থের অভাবে সেই শিশু সন্তানকে অ্যাম্বুল্যান্সে না এনে ব্যাগে করে বেসরকারি বাসে চেপে কালিয়াগঞ্জে পৌঁছন।
এই খবর জনসমক্ষ্যে আসার পর রাজ্য জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শিলিগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেয় নবান্ন। বুধবার উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্তের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল পুত্র শোকার্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান।
ঘটনার পর প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা মৃত শিশু সন্তানের পিতা অসীমবাবুর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। বিতর্ক কিছুটা থামতেই প্রশাসনের কর্তাদের আর দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ। জেলা কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তার অন্য শিশু সন্তানও অসুস্থ। দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন।
সেই সন্তানের চিকিৎসার জন্য জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত রায়গঞ্জের শিশু বিশেষজ্ঞ অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেন। কালিয়াগঞ্জ থেকে রায়গঞ্জে চিকিৎসকের কাছে পৌঁছতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থাও করে কংগ্রেস।
অসহায় দুঃস্থ পরিবারকে জেলা কংগ্রেসের পক্ষ আর্থিক সহায়তাও করা হয়। চিকিৎসায় সহায়তা পেয়ে খুশি শিশুর পরিবার। চিকিৎসক অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় বাইরের দুধ খাওয়াতেই সমষ্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে শিশুটি স্থিতিশীল আছে। তবে ঘটনায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছে কংগ্রেস।
এই বিষয়ে জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, “এই ধরনের একটা ঘটনা যে কতটা মর্মান্তিক তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। আজ এসে দেখা করলাম। শুনলাম যে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের আর দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। কেউ যদি পাশে না দাঁড়ায় তো এই অসহায় গরীব পরিবারটি যাবেই বা কোথায়! আমাদের দলের তরফ থেকে যতটুকু সাধ্য, ততটুকু করেছি। মানবিকতার খাতিরে পাশে দাঁড়িয়েছি।”