অর্ণবাংশু নিয়োগী: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডের তদন্তে ৩ সদস্যে সিট। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করল রাজ্য সরকার। সঙ্গে আগামিকাল, বৃহস্পতিবারই শুনানির আর্জি।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২১ এপ্রিল। সেদিন কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা এলাকায় বাড়ির কাছেই পুকুর পাড়ে পাওয়া যায় কিশোরীর দেহ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আগের দিন থেকে নিখোঁজ ছিল সে। কীভাবে মৃত্যু? অভিযোগ, ধর্ষণ করার পর ওই কিশোরীকে খুন করেছে পাশের গ্রামের এক যুবক ও তাঁর সঙ্গীরা।
স্রেফ অবরোধ-বিক্ষোভ নয়, কালিয়াগঞ্জে সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের মামলা করেছিলেন নিহত নাবালিকার পরিবারের লোকেরা। সেই মামলায় সিট গঠন করেছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্তা। ৩ সদস্যের তদন্তকারী দলে রয়েছেন প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত, প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও আইপিএস দয়মন্তী সেন। আদালতের নির্দেশ, ‘তদন্ত চালকালীন সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মত প্রকাশ করতে পারবেন না সিটের সদস্যরা। প্রয়োজন করলে সিট দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করতে পারবে’। স্রেফ কেস ডায়েরি ও নথি দিয়ে তদন্তে সাহায্য নয়,নিহতের পরিবারের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকে।
আরও পড়ুন: Kurmi Movement: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড় পদক্ষেপ মমতার, কুড়মিদের এই দাবির সঙ্গে সহমত রাজ্য
ডিভিশন বেঞ্চে কেন মামলা? রাজ্যের দাবি, ‘কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে দু’জন অবসরপ্রাপ্ত পুলিস আধিকারিককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্তা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, কোনও অবসরপ্রাপ্ত পুলিস আধিকারিক তদন্ত করতে পারেননি’।