বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ ও গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। এই নিয়ে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ জানানোর কথা বলা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে অবশেষে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। পুলিশ প্রশাসনের তরফে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
যদিও ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণি৷ উলটে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণি বর্ণালী মৈত্র বলেন, “স্কুলে এলে পরে আমাকে নানা ভাবে হেনস্থা করা হয়৷ হুমকিও দিয়েছে আমাকে”। এমনকি তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ প্রশাসন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণি অনিয়মিত এবং দেরি করে আসেন। পাশাপাশি নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগও করেছেন তারা। সে কারণে ই সেদিন ওই কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। এদিকে ওই অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রের দিদিমণি বর্ণালী মৈত্র তাঁকে মারধরের অভিযোগ করেছেন।
যদিও মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন এলাকাবাসী এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুভাষ সরকার। ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান BJP-র সুভাষ সরকার জানান, “এলাকার বাসিন্দারা ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দিদিমণির বিরুদ্ধে অনিয়মিত আসা এবং নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ করেছেন”।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ তিনি খতিয়ে দেখবেন এবং বিষয়টি সুরাহার জন্য বালুরঘাট BDO-কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জানাবেন বলে তিনি জানান। স্থানীয় এক বাসিন্দা এই বিষয়ে জানান, “ওই শিক্ষিকাকে এখানে কেউ মারধর করেননি। আজ বিক্ষোভ দেখানোতে নিজে বাঁচার জন্য মিথ্যে কথা বলছেন। উনি প্রায় প্রতিদিনই কেন্দ্রে দেরি করে আসেন।
এই নিয়ে আমরা অনেকবার ওনার সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু উলটে উনি আমাদের সঙ্গে তর্ক বিতর্ক করেছেন। সেই সঙ্গে এই কেন্দ্রে খাবারের মান ভালো না, সেটা তো আছেই। বাচ্চারা এই খাবার খেতে পারে না। এই বিষয়ে আমরা যথাযথ জায়গায় অভিযোগ জানিয়েছি। আমাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে”।