এই আপিল মামলার শুনানিতে পর্ষদের দিকে আঙুল তুলেছেন চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশও। ডিভিশন বেঞ্চে কর্মচ্যুতদের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘সিঙ্গল বেঞ্চে মামলায় যুক্ত ছিলেন না এই শিক্ষকরা। তাঁদের বক্তব্যও যে শোনা উচিত–সেই দাবি কেন জানায়নি পর্ষদ?’ তাঁর প্রশ্ন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে আছেন, মানিক ভট্টাচার্য জেলে আছেন, তাঁরা দুর্নীতিতে যুক্ত বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। তাঁরা দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে এই শিক্ষকদেরও দুর্নীতিতে যুক্ত থাকতে হবে, এই সিদ্ধান্ত কী ভাবে গ্রহণ করা যায়!’
কল্যাণের অভিযোগ, সিঙ্গল বেঞ্চে যাঁরা মামলা করেছিলেন, তাঁরা আসলে আদালত বেছে তার পর মামলা করেছেন। ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত তাঁরা কোথায় ছিলেন? বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে এর আগে মামলা হয়েছে। বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যর এজলাসেও হয়েছে। তাঁরা বেশ কিছু নির্দেশও দিয়েছেন। সেই নির্দেশ নিয়ে তো কেউ আপত্তি জানাননি।
হঠাৎ করে ২০২০-র পর থেকে বর্তমান মামলাকারীরা তৎপর হলেন কেন? কল্যাণের দাবি, এক লাখ ২৫ হাজার প্রার্থী এই নিয়োগ-প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার মধ্যে থেকে মাত্র কয়েক জন প্রার্থীর নম্বর পরীক্ষা করে সিঙ্গল বেঞ্চ কী ভাবে বুঝল যে দুর্নীতি হয়েছে? ইন্টারভিউ আর অ্যাপটিটিউড টেস্টের মধ্যে পার্থক্যও সামান্যই। অনেক সময়ে একটি প্রশ্ন করলেই দু’টি ভাগের উত্তর পাওয়া যায়। সাত বছর চাকরির পর কি কোনও অধিকার জন্মায় না? এই ৩৬ বা ৩২ হাজার শিক্ষকের পরিবারে যদি পাঁচ জন করে সদস্যও থাকেন, তা হলেও লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
অন্য দিকে, সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাকারী বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীর বক্তব্য, বঞ্চিতরা তো রাস্তায় বসে চোখের জল ফেলছেন। সাত বছর ধরে তাঁরা রাস্তায় বসে। তাঁদের পরিবারে কি কেউ নেই? তাঁদের কী হবে?