বেলপাহাড়ি তথা বিনপুর ২ ব্লকের ভেলাইডিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মেছুয়া গ্রামে তীব্র জলের সংকট রয়েছে। মেছুয়া গ্রাম সহ রাজদহ, কুসুমোড়া, চকগুজরাট, খরস্বতী, ছোটমেছুয়া গ্রামগুলিতেও জলের সংকট রয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ তীব্র গরমের কারণে এলাকার পাতকুয়ো গুলি প্রায় শুকনো হওয়ার মুখে।
পুকুরের জলের উপর ভরসা করেই তাদের বাঁচতে হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে বারংবার আবেদন করেও তাঁদের সমস্যার সুরাহা না হওয়ায় তাই তারা বাধ্য হয়েই পথ অবরোধে সামিল হয়েছেন।
মেছুয়া গ্রামের বাসিন্দা অমিয় মাহাতো বলেন, “স্বাধীনতার ৭৫ বছর হয়ে গেল মেছুয়া গ্রামে রাস্তা তৈরি হল না। পানীয় জলের জন্য এলাকায় পাইপ লাইনের কাজ হলেও এখনও পানীয় জল পৌঁছল না গ্রামে। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে আমরা BDO সাহেবকে বহুবার লিখিত জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। এলাকার পাতকুয়ো শুকনো হয়ে পড়েছে। পুকুরের জলের উপর ভরসা করতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা পথ অবরোধ করেছি। যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের দাবি পূরণ হবে আমাদের এই অবরোধ আন্দোলন জারি থাকবে।”
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অবরোধে জেরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে শিলদা থেকে বাঁকুড়া যাওয়ার ৯ নম্বর রাজ্য সড়কে। রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে বহু দূরপাল্লার বাস ও পণ্যবাহী লরি। প্রতিবছর গ্রীষ্মকালে পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা বেলপাহাড়ির বিস্তীর্ণ এলাকায় একটি জলের সংকট দেখা দেয়।
তাই প্রশাসনের উদ্যোগে তারাফেনী ব্যারাজের জলকে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের দাবি বহু গ্রামের জল পৌঁছেছে। যে সকল গ্রামগুলিতে এখনো পানীয় জল পৌঁছায়নি সেই গুলিতে গ্রীষ্মকালের সময় ঝাড়গ্রাম থেকে গাড়িতে করে জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হয়।
বেলপাহাড়ি তথা বিনপুর ২ নম্বর ব্লকের BDO বরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওখানে জল সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে PHE। ওনারাই কাজ করছেন এই বিষয়টি ওনারাই বলতে পারবেন।”