জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে সাংঘাতিকভাবে পুড়ে গিয়েছেন বেআইনি বাজি কারখানার ‘মালিক’ কৃষ্ণপ্রসাদ বাগ ওরফে ভানু। তাঁকে জখম অবস্থায় সেখানে ভর্তি করান ছেলে পৃথ্বীজিৎ এবং ভাইপো ইন্দ্রজিৎ বাগ। তাঁকে এই মুহূর্তে কলাপাতায় মুড়ে তাঁর চিকিৎসা করা হচ্ছে।
বিস্ফোরণ স্থল থেকে ২৫০ কিমি দূরে কটকের হাসপাতাল ভর্তি হন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সেখানে ভর্তির সময় নিজের পরিচয় গোপন করেছিলেন ভানু। নিজেকে তিনি বালেশ্বরের বাসিন্দা বলে জানান। চিকিৎসকেরা তাঁকে আঘাতের কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান বাড়িতে অনুষ্ঠান চলছিল গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে এই কাণ্ড। হাসপাতালে চিকিৎসকের প্রশ্নের উত্তরে ভানু বলেন, পরিবারের আর কেউ আহত হননি। তারা এসে বিল মিটিয়ে দেবে বলে জানান ভানু। এরপরই বাগ বিতণ্ডা মিটিয়ে তাঁর চিকিৎসা শুরু করে হাসপাতাল। কিন্তু সন্দেহ হওয়ায় হাসপাতালের তরফে স্থানীয় পুলিশকে ৮০ শতাংশ বার্ন ইনজুরি নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর সম্পর্কে জানানো হয়। সেই সূত্র থেকেই খোঁজ মেলে বাজি কারখানার পলাতক মালিক ভানুর।
মঙ্গলবার এগরার সাহারা গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিকুল গ্রামে একটি বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। যার জেরে শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। বিস্ফোরণের তীব্রতা কারখানায় কর্মরত কর্মীদের দেহ ছিন্ন ভিন্ন হয়ে ছড়িয়ে পড়ে ১০ ফুট দূরে। ঘটনায় নয় জনের মৃত্যু হয়। আহত আরও ৬। বিস্ফোরণের আওয়াজে ১০০ মিটার দূরের জানলার দরজার কাচও ভেঙে পড়ে। ওই বিস্ফোরণেই প্রায় শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যায় মালিক ভানুরও। সেই অবস্থাতেই বাইক চেপে সকলের চোখে ধুলো দিয়ে পালান ছেলে ও ভাইপোর সহায়তায়।