বিস্ফোরণের ব্যাপকতা এবং মৃত্যু দেখে আদালত মনে করছে এক্ষেত্রে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার পর্যাপ্ত রসদ রয়েছে। সিআইডি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে যে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার মত তথ্য প্রমাণ পাচ্ছে কি না। বিস্ফোরক আইনে মামলা হলে নিয়ম মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার NIA-র হাতে থাকবে। আগামী ১২ জুনের মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
এগরার বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রথম থেকেই আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনায় NIA-কে তদন্তভার দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। বুধবারই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
এগরা নিয়ে অবশেষে পুলিশ এদিন কৃষ্ণপদ বাগ ওরফে ভানু সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। সেই ভানু নিজেই ঝলসে গিয়ে ওডিশার এক হাসপাতালে ভর্তি। এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘এটা গ্রেফতার নয়, গট-আপ। ভানু সারেন্ডার করেছে। FIR-এ বিস্ফোরক ধারায় মামলা দেওয়া হয়নি। ভানুর সঙ্গে পুলিশ সমঝোতা করেছে। এর মধ্যস্থতা করছেন এগরার তৃণমূল নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী এই বিস্ফোরণের ঘটনায় যে ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে তা পুনরুদ্ধারে করতে এটা করা হয়েছে। ভানুকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়নি। তৃণমূলের মধ্যস্থতায় বুঝিয়ে সারেন্ডার করানো হয়েছে। ভানু এর আগে গ্রেফতার হয়েছিল কিন্ত পুলিশ টাকা নিয়ে চার্জশিট থেকে নাম বাদ দিয়েছিল।’
বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যু হলেও লঘু ধারায় মামলার অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। বিস্ফোরক আইনে মামলা কেন করা হয়নি? সেই প্রশ্ন বুধবার থেকেই জোরালো হয়। যদিও পুলিশের পরিষ্কার দাবি, যে যে ধারায় মামলার সংস্থান রয়েছে তা করা হয়েছে। বিস্ফোরক ব্যবহার ও তার ফলে পারিপার্শ্বিক ক্ষয়ক্ষতির ধারা যুক্ত করা হয়েছে। বেশ কিছু ধারা জামিন যোগ্য হওয়ায় সেক্ষেত্রেও প্রশ্ন ওঠে।
ঘটনায় প্রথম থেকেই NIA তদন্তের দাবি উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রীও এক্ষেত্রে যে NIA তদন্তে আপত্তি নেই সাফ জানিয়েছেন। এখন অপেক্ষা রাজ্যের রিপোর্ট দেখে হাইকোর্ট কী নির্দেশ দেয়!