পঞ্চায়েত ভোট এখনও ঢের দেরি। কিন্তু প্রস্তুতি শুরু হয়ে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। এর মাঝেই নদিয়া সীমান্ত দিয়ে মুর্শিদাবাদে ঢুকছিল দেদার আগ্নেয়াস্ত্র। বুধবার রাতে ডোমকলে ১৫ রাউন্ড কার্তুজ সহ দুজনকে গ্রেফতার করে ডোমকল থানার পুলিশ। বুধবার রাতে দুজনকে হরিকৃষ্ণপুর গ্যাস গোডাউন থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বাড়ি নদিয়ার দোগাছি সাহেবপাড়া। ধৃতদের কাছ থেকে ৭.৬৫ বোরের ১৫ পিস গুলি উদ্ধার করে ডোমকল থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাদের পাঁচ দিনের পুলিশে হেফাজতের আবেদন জানিয়ে বহরমপুরে জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। এগরার বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণেও উঠে এসেছে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি।
স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন, বাজি কারখানার আড়ালে হতো বোমা তৈরি। সেই বোমা চলে যেত বিভিন্ন জেলায়। বিরোধীদের দাবি, আগ্নেয়াস্ত্রের দাপট দেখিয়েই এবার পঞ্চায়েতে নির্বাচনের ছক কষেকে শাসক দল। তারই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জেলায় জেলায়। বিশেষ করে পঞ্চায়েত নির্বাচন মানেই ডোমকলে সিঁদুরে মেঘ দেখেন স্থানীয়রা। এলাকায় বোমাবাজি, অশান্তি লেগেই থাকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়।
২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডোমকলে বেসরকারি হিসাবে ১৩ জন ভোটের বলি হয়েছিল। তারপর থেকে রক্তক্ষয় ছাড়া পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়নি ডোমকলে। এবারও ঘর পোড়া গোরুর মতো অশনি সংকেতের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ডোমকলবাসী। হু হু করে এলাকায় ঢুকছে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, বিস্ফোরক। পুলিশের একাধিক অভিযানে এমনই প্রমাণ মিলেছে। এরকম ধরণের অভিযান লাগাতার চালিয়ে যাওয়া হবে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। সীমান্ত এলাকা গুলিতে বাড়তি নজরদারি দেওয়া হচ্ছে।
ফের বুধবারে নদিয়া সীমান্ত দিয়ে কার্তুজ নিয়ে মুর্শদাবাদে ঢুকতেই দুই দুষ্কৃতীকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে চক্রের সঙ্গে জড়িত মূল পাণ্ডাকে গ্রেফতার করতে মরিয়া পুলিশ। আগ্নেয়াস্ত্রের বাড়বাড়ন্ত দেখে একটাই প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মুখেমুখে ঘুরছে। রক্তপাতহীন পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে তো? চিন্তায় ডোমকলবাসী।