নদিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ফেনসিডিল পাচারের মূল পাণ্ডাকে গ্রেফতার করল চাপড়া পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় হানা দেয় পুলিশের একটি টিম। সেখান থেকেই ধৃতকে গ্রেফতর করে চাপড়া থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ধৃতকে কৃষ্ণনগর জেলা আদালতে তোলা হলো। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৩৭০০ বোতল ফেন্সিডিল সহ গাড়ির চালককে গ্রেফতার করে চাপড়া থানা পুলিশ। চালক কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে উঠে আসে রাজেশের নাম। ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা ছিল রাজেশ। বুধবার তাকে বনগাঁ থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়। ধৃতকে আদালতে তোলা হয়েছে। ফেনসিডিল পাচারের বড় চক্রের অন্যান্য সদস্যদের ধরতে তদন্ত শুরু করেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার চাপড়া থানা।
ফেনসিডিল নামক এই নিষিদ্ধ কাফ সিরাপের ব্যবসা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে। সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হয় এই মাদক। চড়া দাম পাওয়া যায় পাচারকারীদের থেকে। ব্যবসায় ভালো মুনাফার লোভে এই মাদক ব্যবসায় নেমে পড়েছে অনেকেই। হাত বদল করে পেটি পেটি ফেনসিডিল বোতল চলে যায় ওপারে।
দীর্ঘদিন এই ধরণের মাদক পাচার রোধে অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন। অমিতাভ বিশ্বাস ওরফে রাজেশকে জিজ্ঞসাবাদ করে পুলিশের হাতে এই চক্র সংক্রান্ত আরও তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। জেলা জুড়ে কীভাবে পাচারের জাল বিছানো হয়েছিল, সে সম্বন্ধে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই বর্ধমান জেলা থেকে উদ্ধার হয় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শিশি ফেনসিডিল। নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য ফেনসিডিলের বস্তা বোঝাই একটি অটোকে ধরা। সেই অটো তল্লাশি করেই এই নিষিদ্ধ মাদকের বোতল পাওয়া যায়। বোতলগুলিকে বাজেয়াপ্ত করেছে এনসিবি। মাদক দ্রব্য পাচারের অভিযোগে ওই অটোর চালককে গ্রেফতার করা হয়। ওই অটো থেকে প্রায় ২২ বস্তা ফেনসিডিল বোতল উদ্ধার করে। অটো চালক সেগুলি কোথায় পাচারের চেষ্টা করছিল তার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।