টুইটারে সিবিআইয়ের পাঠানো নোটিশ শেয়ার করে অভিষেক লেখেন, ‘২০ মে শনিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিবিআই সিবিআইয়ের পাঠানো সমন আমি পেয়েছি। আমাকে একদিনও সময় না দেওয়ার পরও নোটিশ অনুযায়ী আমি হাজিরা দেব। তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করতে আমি প্রস্তুত। বাঁকুড়াতে যেখানে আজ আমি জনসংযোগ যাত্রা থামাতে বাধ্য হয়েছি, ২২ মে সেখান থেকেই ফের তা শুরু হবে। এই ঘটনায় আমি মোটেও হতাশ নই। আরও বেশি করে বাংলার মানুষের সেবা করার চেষ্টা করব। আমি তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
বাঁকুড়াতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক নিজেই একথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে আজই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সেই কারণে আজকের কর্মসূচি সেরে তিনি রাতেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেবেন। উল্লেখ্য, বাঁকুড়ার বড়জোড়াতে এই মুহূর্তে জনসংযোগ যাত্রায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল অভিষেকের। সন্ধে বেলা পাত্রসায়রে তাঁর একটি জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সব ছেড়ে কলকাতা ফিরছেন তৃণমূল সাংসদ। অভিষেকের বদলে বাঁকুড়া সোনামুখী সভায় বক্তব্য রাখবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ভার্চুয়ালি সভায় বক্তৃতা দেবেন মমতা।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কুন্তল ঘোষকে আগেই গ্রেফতার করেছে ইডি। শুক্রবার কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি-সিবিআইকে অনুমতি দেয় আদালত। এর পাশাপাশি অভিষেক ও কুন্তলকে ২৫ লাখ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
এদিন কলকাতা আদালতে ধাক্কার মুখে পড়তে হয়েছে অভিষেককে। তাঁর রক্ষাকবচের আবেদনের পাশাপাশি জরুরি ভিত্তি এই মামলার শুনানির আবেদন খারজি করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবাার বাঁকুড়া রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের অভিষেক বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে আমি যাত্রা থামিয়ে যেতেও প্রস্তুত। কিন্তু একজন ভারতীয় নাগরিক হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়াও আমার অধিকারের মধ্যে পড়ে।’