এদিকে এগরার বিস্ফোরণের পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, এই দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার খরচ বাবদ এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে নিহতদের পরিবারকে আড়াই লাখের আর্থিক সাহায্য করা হবে।
ভানু বাগ পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলের বেআইনি বাজি কারখানার মালিক ছিলেন, সামনে এসেছিল এমনই তথ্য। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশি পদক্ষেপ করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছিলেন ভানু। তাঁর একটি কলাপাতা জড়িয়ে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকার একটি ছবি সামনে এসেছিল।
এরপরেই তাঁর মৃত্যু। প্রশ্ন উঠছে, বিস্ফোরণে আহত হওয়ার পর ভানুর মৃত্যু, তবে কি তিনিও সরকারি আর্থিক সাহায্য পাবেন? এই নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে তাঁর প্রতিবেশীদের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষো চলছিলই।
এই প্রসঙ্গে এগরার এসডিও সম্রাট মণ্ডল বলেন, “সরকার যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে। এটা পুরোপুরি সরকারি সিদ্ধান্ত।” তিনি জানান, এই বিষয়ে এখনও কোনও সরকারি নির্দেশ আসেনি। তাঁর আরও মন্তব্য, “আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। সরকারি নির্দেশ যা আসবে সেই মোতাবেক পদক্ষেপ করা হবে।” অর্থাৎ ভানুর পরিবার ক্ষতিপূরণ বাবদ অর্থ পাবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, এগরার ঘটনার রীতিমতো শোরগোল পড়েছে। কী ভাবে পুলিশ প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে চলছিল বেআইনি বাজির ব্যবসা? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। খাদিকুল গ্রামে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে নয় জনের। একপরেই রাজ্যের বেআইনি বাজি কারখানাগুলির বিরুদ্ধে অবিলম্বে পুলিশি অভিযানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে ছয় দফার নির্দেশ জেলা পুলিশ সুপার এবং কমিশনারেটগুলির সিপিদের পাঠানো হয়েছে।
রাজ্যে বাজি ব্যবসায়ীদের একাংশের কথায়, বাংলায় মোট ২৬টি বাজি কারখানা চালানোর অনুমোদন রয়েছে। অন্যান্যগুলি বৈধ নয়। এগরার ঘটনায় তদন্তে নেমে জানা যায়, ভানুকে আগেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও সে ছাড়া পেয়ে যায় এবং পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সে আবার ব্যবসা শুরু করে।