স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল বিকেল নাগাদ ভগবানপুরের বরোজ এলাকায় বিজেপির একটি বিক্ষোভ মিছিল ছিল। বিমল কৃষ্ণ দাস (৫১) নামে তৃণমূল কংগ্রেসের একজন কর্মী সেই সময় পাউসি বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বর্তমান ভগবানপুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতির দেহরক্ষী (CRPF) গুলি করে। ঘটনাটি ঘটে পাউসি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায়। বিমলকৃষ্ণ দাসকে ভূপতি নগর থেকে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজে আনা হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
অন্যদিকে, বিজেপির তরফেও মিছিলকে লক্ষ্য করে বোমা, গুলি ছোড়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গুলিতে আহত হয়েছে বিজেপির গোবিন্দপ্রসাদ দাস (৩৩) ও শুভজিৎ সামন্ত (২৮) নামে দুই বিজেপি কর্মী। আহত দু’জনকে তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বিজেপির পক্ষ থেকে এগরায় ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের সঠিক তদন্ত সহ বেশ কয়েকটি দাবিকে সামনে রেখে প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। সেই মিছিলের উপর বোমা ও গুলি ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের দুষ্কৃতকারীরা মিছিলের উপর হামলা চালানোর পাশাপাশি বোমা ও গুলি ছোড়ে। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।
রামনগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, “আমাদের কেউ মিছিলের উপর হামলা চালায়নি। আমাদের এক নেতাকে মারধর করার পাশাপাশি বিধায়কের দেহরক্ষী গুলি করেছে। সে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।” কেন্দ্রীয় বাহিনীর এই ধরনের ঘটনার প্রতিবাদে জেলা জুড়ে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল সংগঠিত হবে বলে জানান তিনি।
গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। তৃণমূল, বিজেপি উভয়ই একে অপরের উপর অভিযোগ চাপিয়েছেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ভগবানপুর থানার পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতর রয়েছে এলাকায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হওয়ায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।