CID সূত্রে খবর, ভানুর শরীরের ৮০ শতাংশের উপর পুড়ে গিয়েছিল। ফলে তার বাচার সম্ভবনা অনেকটাই কমে আসছিল। সেই আশঙ্কাই সত্যি হয় এদিন।
ভানুর মৃত্যুতে কি তদন্ত প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটবে? সিআইডির এক কর্তা বলেন, ‘একেবারেই নয়। একজন অভিযুক্ত মারা যাওয়ায় তদন্তে কোনও সমস্যা হয় না, সাক্ষী বা অভিযোগকারী মারা গেলে সেটা অন্য ব্যাপার ছিল। অভিযুক্ত নিজের বিরুদ্ধে কোর্টে সাক্ষী দিতে আইন অনুযায়ী পারে না। বহু বড় বড় কেসে অভিযুক্ত মারা গিয়েছে। তাতে তদন্ত আটকে থাকেনি। এক্ষেত্রেও একদম কোনও সমস্যা হবে না।’
মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল। বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় ৮ জনের। বেআইনি বাজি কারখানার মালিক ছিল ভানু। আগেও গ্রেফতার হয়েছিল ভানু। বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের নিজের ঘনিষ্ঠদের হারিয়েও বেআইনি কাজ থামিয়ে রাখেনি। পরিবর্তে প্রতিদিন নিজের ব্যাবসা বাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।
ঘটনার পর পুলিশের গ্রেফতারি এড়াতে গুরুতর জখম অবস্থায় বাইকে চেপে সেখান থেকে ওডিশার উদ্দেশে রওনা দেয় সে। সেখানে আসল কথা গোপন করে একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তাকে কটকের কাছে একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। অবস্থার উন্নতি হলে তাকে ভবানী ভবনে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করছিল সিআইডি। এর মধ্যে ভানু বাগের মৃত্যু হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভানুর মৃত্যুকালীন জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়নি।
এদিক এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনার কথা জেনে বিস্ময় প্রকাশ করেছে আদালত। বিস্ফোরণের ব্যাপকতা এবং মৃত্যু দেখে আদালত মনে করছে এক্ষেত্রে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার পর্যাপ্ত রসদ রয়েছে। সিআইডি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবে যে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করার মত তথ্য প্রমাণ পাচ্ছে কি না। বিস্ফোরক আইনে মামলা হলে নিয়ম মোতাবেক সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার NIA-র হাতে থাকবে। আগামী ১২ জুনের মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।