অংকের পরীক্ষা দিয়ে ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকা সেই পরীক্ষার্থীদের ফলাফল কেমন হল?
শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফলাফল। চলতি বছরের রেজাল্ট প্রসঙ্গে নিউ ব্যারাকপুর কলোনি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মনিকা ঘোষ বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এই সময় ডিজিটাল-কে বলেন, “চলতি বছর ফলাফল ভালো হয়েছে। স্কুলে ১৩৭ জন পরীক্ষার্থী মাধ্যমিক দিয়েছিল। প্রত্যেকেই পাশ করেছে।”
অংক পরীক্ষা দিয়ে কান্নাকাটি করা ছাত্রীদের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা বলে মণিকাদেবী জানান, প্রত্যেকেই ভালো ফলাফল করেছে। পাশ করেছে ওই ছাত্রীরাও। তাঁর সংযোজন, “কেউ আশাহত করেনি। স্কুলের টপার মাধ্যমিকে ৯৩.৮৫ শতাংশ পেয়েছে। ৪৬ শতাংশ ছাত্রী প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে। স্টার পেয়েছে ২২ জন। ৮০ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছে ১৬ জন।”
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কথায়, “ফলাফল ভালো হয়েছে। আরও একটু ভালো হলে আমাদের ভালো লাগত।” উল্লেখ্য, অংক পরীক্ষা দিয়ে বার হয়ে ছাত্রীদের হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়া এবং একটু ঘাড় ঘুরিয়ে দেখতে দেওয়ার দাবিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। অস্বস্তিতে পড়েছিল স্কুলও।
সেই সময় মনিকা ঘোষ বিশ্বাস স্পষ্ট করেছিলেন, তাঁদের স্কুলেও টেস্ট পরীক্ষার সময় যথেষ্ট কড়া গার্ড দেওয়া হয়। আলোচনা করে পরীক্ষা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই থাকে না। সেক্ষেত্রে কেন এই দাবি করেছিলেন ছাত্রীরা, তা ঠাহর করতে পারছিলেন না শিক্ষিকারা।
বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের যুক্তি ছিল, করোনার জন্য দীর্ঘদিন অনলাইন পঠনপাঠনের মধ্যে থাকতে হয়েছিল পড়ুয়াদের। পাশাপাশি জীবনের প্রথম বোর্ড পরীক্ষায় একটা বিপুল প্রত্যাশার চাপ থাকে। হয়তো কারও অংক পরীক্ষা প্রত্যাশামতো হয়নি। তাই সেই অপ্রাপ্ত মন থেকে রাগের আস্ফালন বেরিয়েছিল ওই শব্দগুলির মাধ্যমে।
তবে তাঁরা প্রত্যেকেই ভালো নম্বর পেয়ে পাশ করেছে, এমনটাই জানানো হয়েছিল স্কুলের তরফে। প্রসঙ্গত, শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফলাফল। এই বছর মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৬.১৫ শতাংশ। জেলাগুলির নিরিখে এগিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর। সেখানে চলতি বছর পাশের হার ৯৬.৮৬ শতাংশ।