কেন এমন পরিস্থিতি? শিক্ষক মহলের একাংশ বলছেন পড়ুয়াদের স্কুলে আসার প্রতি ঝোঁক কমছে অনেকটাই। করোনা পরিস্থিতিতে পড়ুয়ারা অনেকেই অনলাইন পঠন-পাঠনে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। সেখান থেকে বেরিয়ে স্কুলে এসে পঠন-পাঠনে মনোযোগী নয় অনেকেই। স্কুলে আসলে মানসিক বিকাশও হয় যা পঠন-পাঠনে সহায়তা করে। তা থেকে ক্রমেই বঞ্চিত হয়ে পড়ছে পড়ুয়ারা।
মেদিনীপুর শহরের বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতনের প্রধান শিক্ষক পিন্টু সামন্ত বলেন, ‘শিশুদের পঠন পাঠনে মনোযোগী করার ক্ষেত্রে আরও যত্নশীল হতে হবে শিক্ষকদের। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠনের মান খতিয়ে দেখতে ঠান্ডা ঘর থেকে রাস্তায় নেমে সার্ভে করতে হবে শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের। সবাই মিলে প্রচেষ্টা করলে তবেই এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।’
যে সব স্কুলের নাম আগে কৃতি তালিকায় জ্বলজ্বল করত, এবছর সেই স্কুলগুলি কেন নিজেদের স্থান ধরে রাখতে পারল না বা সার্বিকভাবে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় কেন পাশের হার কমল তা খতিয়ে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মামনি মান্ডি। পাশের হার কমলেও পরিস্থিতি এখনও হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়নি বলেই মনে করেন জেলা অধিকাংশ শিক্ষাবিদ। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে মানোন্নয়ন সম্ভব বলে মনে করছেন তারা।
অন্যদিকে পাশের নিরিখে এবারও প্রথম স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের এবার মাধ্যমিক পাশের হার ৯৬.৮৬ শতাংশ। গোটা রাজ্যে ১ থেকে ১০-এর মেধা তালিকাতে স্থান পেয়েছ ১১৮ জন। এই মেধাতালিকাতেও পূর্ব মেদিনীপুরের ১১ জন জায়গা করে নিয়েছে। তবে কলকাকার কোনও পরীক্ষার্থী মেধা তালিকায় স্থান পায়নি বলেই জানা গিয়েছে।