যদিও এর ব্যাখ্যা দেওয়ার আগেই তাঁকে পুলিশের ভ্যানে তুলে দেওয়া হয়। কোনও রকমে বক্তব্য শেষ করেন মানিক। ২০১৬-র প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ওই ৩২ হাজার শিক্ষকের যথাযথ অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি বলেই অভিযোগ করেন মামলাকারীরা। মানিক ভ্যানে উঠতে উঠতে বলেন, ‘প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ২-সি ধারায় বলা হয়েছে, অ্যাপ্টিটিউড মানে হচ্ছে স্বাভাবিক ক্ষমতা বা প্রকৃতি প্রদত্ত ক্ষমতা।’
তবে কি নিয়োগবিধির ব্যাখ্যা দিয়ে মানিক এটাই বোঝাতে চাইলেন, নিয়োগে কোনও ত্রুটি নেই। মানিক অবশ্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় নিয়ে উচ্চবাচ্য করেননি। এমনকী বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, ফের অ্যাপটিটিউট টেস্ট বা ইন্টারভিউ করাতে যে খরচ হয়েছে তা চাইলে পর্ষদ মানিকের থেকে নিতে পারে। মানিক অবশ্য বলেছেন, ‘এ নিয়ে আমার কোনও কথা নেই।’
কী আছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ২-সি বিধিতে? পর্ষদের বক্তব্য, ওই ধারায় জানানো হয়েছে, একজন প্রার্থীর শিক্ষাদানের স্বাভাবিক দক্ষতার মূল্যায়ন করা। অর্থাৎ তিনি প্রশিক্ষিত না হয়েও কী ভাবে ক্লাসে পড়াচ্ছেন তা যাচাই করা। এর মানে কোথাও এমন জানানো নেই যে, অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়ারই দরকার নেই। যদিও পর্ষদের বর্তমান কর্তাদেরও দাবি, প্রত্যেক শিক্ষককেই অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছিল। কারণ ওই খাতে প্রত্যেকের নম্বর দেওয়া আছে। এই দাবিকে সামনে রেখেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছে পর্ষদ।
এ দিন আদালতে মানিকের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলের জামিন মামলা এখন হাইকোর্টে বিচারাধীন। ফলে লম্বা সওয়াল-জবাব হয়নি। ৩ অগস্ট পরবর্তী শুনানি। তার আগে হাইকোর্ট থেকে জামিন না পেলে মানিককে থাকতে হবে জেলেই। এ দিকে ধৃত কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে চেনেন কি না, এই প্রশ্নের উত্ততে মানিক প্রথমে হাত নেড়ে তাঁদের চেনেন না বলেই জানান। পরে অবশ্য মুখ খোলেন। বলেন, ‘চিনি না কাউকে। ওঁরাও বলেছেন চেনেন না।’ এ কথা বলেই লক-আপের ভিতরে ঢুকে যান। এ দিন আদালত থেকে জেলে ফেরার পথে মানিক জানান, ‘গরম পড়েছে। তাপপ্রবাহ সর্বত্র চলছে। সবার কষ্ট হচ্ছে।’