নবদ্বীপ বড় বাজার সংলগ্ন একটি বাজির দোকানে প্রথমে অভিযান চালায় পুলিশ। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েক কিলো নিষিদ্ধ শব্দবাজি। এরপর নবদ্বীপ রাধাবাজার সংলগ্ন এলাকায় আরও একটি বাজির দোকানে অভিযান চালানো হয়। বাজির দোকানের মালিকের কথা বার্তায় সন্দেহ হয় পুলিশের।
এরপরেই তল্লাশি চালানো হয় দোকানের গোডাউনে। এবং সেখান থেকেই উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণে নিষিদ্ধ শব্দ বাজি। এই ঘটনায় নিষিদ্ধ শব্দবাজি মজুদ রাখার অপরাধে দু’জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে নবদ্বীপ থানার পুলিশ। আগামী দিনেও বেআইনি শব্দবাজি মজুদ রাখার অপরাধে এই অভিযান চলবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই বিষয়ে এক পুলিশ আধিকারিক জানান, “আমাদের কাছে খবর এসেছিল এই এলাকায় কিছু দোকানে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি করা হচ্ছে। সেই সূত্রেই আমরা অভিযান চালাই। অভিযান চালিয়ে দেখি যা খবর পাওয়া গিয়েছিল, তার থেকে অনেক বেশি পরিমাণ বাজি এখানে মজুত আছে। মোটামুটি সবই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ধরনের অভিযান আরও চলবে।”
শুধু নদিয়া জেলা নয়, এইধরনের অভিযানের খবর মিলছে অন্যান্য জেলা থেকেও। হুগলির চণ্ডীতলা থানা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় ৫০০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি। ৫ জন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চণ্ডীতলার বেগমপুরে হানা দিয়ে নিষিদ্ধ বাজির হদিশ মেলে। উদ্ধার হয়েছে বাজি তৈরির সরঞ্জামও।
বীরভূমের নলহাটিতেও বাজির দোকানে পুলিশ হানা দেয়। আজ সকালে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি দোকান থেকে ৭২০ প্যাকেট নিষিদ্ধ শব্দবাজি ও বাজি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। বেআইনিভাবে নিষিদ্ধ বাজি মজুত করায় নলহাটির এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
এগরার বিস্ফোরণের পর রাজ্যে বেআইনি বাজি তৈরীর কারখানা রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে নবান্ন। ভবিষ্যতে এই ধরনের অঘটন রুখতে ছ’দফা নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। ইতিমধ্যে সেই নির্দেশিকা গুলি রাজ্যের প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপার এবং কমিশনারেট এলাকায় কমিশনারের দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।