এরপরই দেখা যায় শ্বাস ছাড়লেই ছোট্ট ছেলের শরীরের ভিতর থেকে বাশির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। বাইরে থেকে সেই শব্দ শোনাও যাচ্ছে। শিশুকে নিয়ে পরিবারের উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছিল। এরপরই দুদিন আগে শিশুর পরিবার তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। সেখানে আনার পর চিকিৎসকেরা সিটি স্ক্যান করেন। দেখা যায় ফুসফুসের কাছে বাঁশিটি আটকে রয়েছে। বৃহস্পতিবার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত হয়।
বৃহস্পতিবার অ্যানাস্থেশিয়া দলের তত্ত্বাবধানে শিশুটির ব্রঙ্কোস্কোপি করা হয়। এরপর ফরসেপ দিয়ে ফুসফুসের কাছ থেকে বাঁশিটি বের করে আনেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর অস্ত্রোপচারের পর শিশুটি সুস্থ রয়েছে। আপাতত তাঁর কোনও সমস্যা হচ্ছে না বলেই জান গিয়েছে।
চিকিৎসকদের দলে ছিলেন ডা: রাধেশ্যাম মাহাতো, ডাঃ গৌতম দাস, ডাঃ ধ্রুপদ রায়, ডা: সন্দীপ ঘোষ, ডাঃ তুহিন শাসমল, ডাঃ অজিতাভ সরকার, ডাঃ শুভম গুপ্ত, ডাঃ এস কে আজহারউদ্দিন, ডাঃ সন্দীপ মণ্ডলের মতো বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও অ্যানাস্থেশিয়া দলে ডাঃ সুব্রত মন্ডল, ডাঃ ওয়াসিম প্রমুখরা ছিলেন। শিশুটিকে আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রেখ ছেড়ে দেওয়া হতে পারে, হাসপাতাল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
সফল অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসক রাধেশ্যাম মাহাতো বলেন, ‘শিশুটি এখানে আসার পর যাবতীয় পরীক্ষা করা হয়। এরপর দেখা যায় ফুসফুসের কাছে বাঁশিটি আটকে রয়েছে। এরপরই চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে অস্ত্রপচার করা হয়েছে। সফল অস্ত্রপচার হয়েছে। শিশুটি এখন ভালো রয়েছে।’ অন্যদিকে শিশুর বাবা বলেন, ‘আমরা ওকে নিয়ে খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। কী হবে বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এখন নিশ্চিন্ত হতে পেরেছি। চিকিৎসকদের সকলকেই ধন্যবাদ জানাই।’